কেরিয়ার গড়তে দিশা দেবে সরকার, আসছে রাজ্যের নতুন পোর্টাল

স্কুল শেষ? এবার কি করবে আপনার ছেলে বা মেয়ে? – দৈনন্দিন জীবনে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয় অনেক অভিভাবকই। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কিই বা করবে, কোন বিষয় নিয়ে এগোনো ভালো?- এই সব যাবতীয় প্রশ্ন মাথার মধ্যে প্রায়শই চিন্তা তৈরি করে। এবার এই চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারের নয়া উদ্যোগ। এর আগে শিক্ষার্থীদের জীবন সচ্ছল করতে রাজ্য সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ইত্যাদি। নির্বাচনী পর্ব মিটতেই ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় সুদূর পথ তৈরি করার জন্য সরকার তরফে নেওয়া হল স্টুডেন্ট কার্ড তৈরি উদ্যোগ। যা নিশ্চিত করলো ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় সুদূর পথকে।

এবার আবার শিক্ষার্থীদের কেরিয়ারমুখী করে তুলতে, জীবনের কোন ধারায় তারা এগোবে সেই বিষয়ে সুদূর পথ দেখাতে অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার। আগামী ৫ই অক্টোবর থেকে চালু হচ্ছে রাজ্য সরকারের কেরিয়ার পোর্টাল। একটি ক্লিকেই মিলবে সব প্রশ্নের উত্তর।

student,career portal,west Bengal,mamata banerjee,government,job শিক্ষার্থী,কেরিয়ার,পশ্চিমবঙ্গ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,সরকার,চাকরি

শুক্রবার উচ্চশিক্ষা সংসদের আয়োজনে একটি “মেধা” সিরিজ নামে ওয়েবিনারের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে শিল্পসংস্থার মেলবন্ধন ও কেরিয়ারের সুলুক সন্ধান দেবেন বিশেষজ্ঞরা। এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই উপস্থিত ছিলেন এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু ও বণিক সংস্থা সিআইআই-এর অধিকর্তা প্রদীপ আগরওয়াল।

এদিন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অনুপম বসু বলেন, ‘সরকারি পোর্টালের সহায়তা পেলে অনেক পড়ুয়ারই উপকার হবে।’

student,career portal,west Bengal,mamata banerjee,government,job শিক্ষার্থী,কেরিয়ার,পশ্চিমবঙ্গ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,সরকার,চাকরি

এছাড়াও বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, কেরিয়ার ও পড়াশোনার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে এই পোর্টাল তৈরি হচ্ছে। যেখানে ৫০০-এর বেশি কোর্সের তথ্য থাকবে। কোর্সগুলি কোথায় পড়া যাবে। কত নম্বর প্রয়োজন, এছাড়াও সেই কোর্সে পড়লে কোথায় চাকরি পাওয়া যাবে, সে সবই মিলবে এই পোর্টালে। পাশাপাশি থাকবে সাইকোমেট্রিক টেস্টেরও সন্ধান। যেখানে মনোবিদরা সরাসরি পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলবেন এবং কোন পথে তাঁদের জীবন ও কেরিয়ার অতিবাহিত করা উচিত তাও জানাবেন। পাশাপাশি থাকবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্য ও অধ্যক্ষদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বাণিজ্যসভা আয়োজন করুন। ওয়েবিনার ও কর্মশালার আয়োজন করুন। শিল্প সংস্থাগুলিকে নিয়ে আসুন। সেই আলোচনা থেকে যা উঠে আসবে তাঁর রিপোর্ট তৈরি করুন, আমাদের পাঠান।’ এছাড়াও শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন বলেন, ১০ বছরে শিক্ষাখাতে ৮০০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে শুধু উচ্চশিক্ষায়। ১৩ লক্ষ থেকে এখন আমাদের রাজ্যে এনরোলমেন্ট পৌঁছে গিয়েছে ২২ লক্ষে।




Back to top button