কলেজ স্কোয়ারেই হবে বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী পালন, নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের

গত বছর কেটেছে দ্বিশতবর্ষ। এবার ২৬ সেপ্টেম্বর গোটা রাজ্যজুড়েই পালন হতে চলেছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০১তম জন্মবার্ষিকী। এদিকে জন্মবার্ষিকীর সমাপ্তি অনুষ্ঠান পালন করতে ইতিমধ্যেই জোরদার প্রস্তুতিও শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি মতে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন ২৬ সেপ্টেম্বর। যদিও বীরসিংহ স্মৃতিরক্ষা কমিটি এবং বীরসিংহ লাইব্রেরি অবশ্য ২৯ সেপ্টেম্বর (বাংলা ১২ আশ্বিন) বিদ্যাসাগরের পালন করে থাকে। তবে এবারের সরকারি অনুষ্ঠান হবে ২৬ তারিখেই।

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংষ্কৃতি বিভাগের তরফে অনুষ্ঠানের আয়োজন প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। আর তাতেই জানানো হয়েছে আগামী ২৬ তারিখ রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী পালন করবে রাজ্য সরকার। কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

Birth Anniversary of Vidyasagar,Government of West Bengal,Ishwar Chandra Vidyasagar,Great Man of Bengal,Birthday of Vidyasagar,বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী,পশ্চিমবঙ্গ সরকার,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,বাংলার মহাপুরুষ,বিদ্যাসাগরের জন্মদিন

১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বের বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। শৈশব থেকেই তাঁর প্রতিভারস ছটা ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁর পাণ্ডিত্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা, কর্মনিষ্ঠা, নির্ভীকতা আজও বাঙালির কাছে এক বড় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়ে গিয়েছে। একাধারে তিনি যেমন ছিলেন সংস্কৃতের পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, অন্যদিকে তার বিভিন্ন সমাজ সংষ্কারমূলক কাজের কথা আজও অনুপ্রাণিত করে সাধারণ মানুষকে।

এদিকে বিদ্যাসাগরের হাত ধরেই বর্ণের সঙ্গে পরিচয় বাংলার। তাঁর বোধোদয়, কথামালার হাত ধরেই শুরু জীবনের বাঙালি শিশুর বোধোদয়। অন্যদিকে শিক্ষার প্রসারে একাদিক যুগান্তকারী কাজের পাশাপাশি সমাজ সংষ্কারেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বিদ্যাসাগর। তার সমসাময়িক সময়ে তৎকালীন ব্রাহ্মণ-প্রভাবিত সমাজে বিধাবা বিবাহ ছিল বড় ‘পাপ’। কিন্তু বিদ্যাসাগরের হাত ধরেই পরিবর্তন আসে সেই প্রথায়। তিনিই প্রথম শুরু করেছিলেন বিধবা বিবাহ।




Back to top button