মৃত্যু ১৩০ বছর বাদ তাঁকে ঘিরে তৈরি জমি বিবাদ মামলা, প্রমাণ আছে কিশলয়ে

কেটে গেছে ১৩০ বছর। ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর। জীবদ্দশায় কখনো জমি বিতর্ক মামলায় জড়িয়েছিলেন কি না সেই নিয়ে নেই কোনো তথ্য। তবে রেহাই পেলেন না মৃত্যুর ১৩০ বছর বাদ। মৃত্যুর ১৩০ বছর বাদ জমি মালিকানা নিয়ে মামলায় বিবাদে উঠে এলো তাঁর নাম। জমির মালিক কে বা কারা তার সাক্ষী নাকি ‘কিশলয়’ বইটি।

ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কালনার। সেখানে হাঁসপুকুর মৌজায় আইনজীবী প্রবুদ্ধ সাহানার মক্কেল তুফান দে-র দেড় একর শালি জমি আছে। তাঁর অভিযোগ সেই জমি সাদগাছি পঞ্চায়েত প্রধান তাপস সরকার ও তাঁর সঙ্গী বলাই উপপাধ্যায় বেআইনি ভাবে দখল করে নিচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সহ কানলা ২নং ব্লক প্রশাসকের কাছে এই অভিযোগ পত্র জমা করেছেন আইনজীবী প্রবুদ্ধ সাহানা ও তাঁর মক্কেল তুফান দে।

প্রবুদ্ধর দাবি, “আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওই জায়গায় বেআইনি হস্তক্ষেপ বসিয়ে সেখানে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসাতে চাইছেন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “ভুমি দফতরেও তুফানের নামে ওই জমি নথিভুক্ত রয়েছে। জমি এল আর প্লট নম্বর ১১২। এবং ওই জমির কর তুফানই দেয়।” যদিও এই প্রসঙ্গে তাপসের দাবি অন্য।

vidyasagar,land dispute case,kanla,2 number block,prabuddh sahana,tapas sarkar,tufan deবিদ্যাসাগর,জমি বিবাদ মামলা,কানলা,২নং ব্লক,প্রবুদ্ধ সাহানা,তাপস সরকার,তুফান দে

এদিন তাপস জানান, “যে জমি নিজের নামে তুফান দে দাবি করছেন সেই জমিতে আগে একটি হাসপাতাল ছিল। এবং বিদ্যাসাগর নিজে এক কলেরা আক্রান্তকে সেই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। ‘কিশলয়’ বইয়ে তার উল্লেখ্য আছে। এছাড়াও এই জমিতে এখনো হাসপাতালের একটু আধটু চিহ্ন আছে। সুতরাং এই জমিটি বিদ্যাসাগরের স্মৃতির সঙ্গে যুক্ত।” শুধু তাই নয়, তুফানকে একজন জমি মাফিয়ার তকমা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমি দখলের মামলা করেন।

তাপস আরও বলেন, “তুফান আসলে একজন জমি মাফিয়া। তিনি বিএলআরও-এর সঙ্গে আঁতাত করে ওই জমি জায়গা অসাধু উপায়ে নিজের নামে করে নিয়েছেন। কানলার বাসিন্দারা চান সরকার ওই জায়গাটিকে হেরিটেজ স্থান হিসেবে নথিভুক্ত করুক। আমিও সেটাই চাই, এবং সেই স্বপ্ন সাধনের জন্য যতদূর সম্ভব হয় ততদূর লড়বো।”

অপরদিকে তুফানের আইনজীবী প্রবুদ্ধের অভিযোগ পেয়ে কানলা ২ নং ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, “গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।”

 




Back to top button