পড়ুয়া বহিষ্কারে উত্তাল বিশ্বভারতী, জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন! রাজপথ কাঁপাচ্ছে এসএফআই
বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। নিন্দায় সরব হচ্ছেন রাজ্যের শিক্ষক-ছাত্র মহলের বড় অংশ। এদিকে সাসপেনশন তোলার দাবি জোরদার আন্দোলনের রাস্তায় নেমেছে একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে এসএফআই। তিন ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কারের ফরমান প্রত্যাহারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বোলপুরের সিপিএম লোকাল কমিটি অফিসের সামনে থেকে এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে এসএফআই। আগামী ৩১ অগাস্ট বোলপুর স্টেশন চত্বর থেকে বড় মিছিলেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছায় বর্ধমানেও। শহরের পার্কাস রোডে সংগঠনের লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে শুক্রবারই বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। অন্যদিকে এদিনই আবার ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ব্যারাকপুর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে স্টেট ব্যাঙ্কের মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংগঠনের সদস্যরা। চলে জনসভাও। ব্যারাকপুর আঞ্চলিক কমিটির অন্তর্গত বি.টি রোড ইউনিটের উদ্যোগেও চলে বিক্ষোভ।
অন্যদিকে বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে বহরমপুরেও। বিশালাকার মিছিলের ডাক দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে বীরভূমের রামপুরহাটে বিশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয় বাম ছাত্র যুবদেক পক্ষ থেকে। বিশ্বভারতীর ঘটনাকে সামনে রেখেই চলে এসএফআইয়ের বিক্ষোভ। বিশ্বভারতীয় উপচার্যের পদত্যাগেরও দাবি তোলা হয়। অন্যদিকে বিশ্বভারতী কাণ্ডের প্রতিবাদে হাওড়াতেও প্রতিবাদে সামিল হয় ছাত্র যুবরা। ২৬ অগাস্ট জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ। চলে রাস্তা অবরোধের কর্মসূচি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৩ অগাস্ট রাতে বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র তথা এসএফআই (SFI) নেতা সোমনাথ সৌ, হিন্দি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী ও অপর ছাত্রনেতা ফাল্গুনী পানকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বিশ্বভারতীয় আঁচ গিয়ে পৌঁছেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর লেখা বই বয়কটের দাবি সরব হয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ‘ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট’ নামে একটি বই পড়ানো হত এতদিন। বর্তমানে তা বাতিলের দাবি তুলেছেন পড়ুয়ারা।