TMC vs BJP: “বুড়ো বয়সে ভীমরতি”, চার চাকা চেপেই অখিলের তোপের মুখে শিশির

ফের তৃণমূল-বিজেপি বাকবিতণ্ডা। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শিশির অধিকারীর দিকে তোপ দেগে বসলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী ও রামনগর কেন্দ্রের বিধায়ক অখিল গিরি। এদিন মহিষাদল এলাকায় একটি বিজয়ী সম্মিলনীতে এসে তিনি মন্তব্য করেন, “শিশির অধিকারীর বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে, তাই গাড়ি করে BJP পার্টি অফিস যাচ্ছেন। পুরভোটের আগে এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওদিকে, তৃণমূলের সাংসদ হয়ে রয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি, শিশির পুত্র দিব্যেন্দু সম্পর্কেও একই প্রশ্ন তোলেন শিশির পরিবারের চিরকালে প্রতিদ্বন্দ্বী অখিল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মহিষাদল ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি বিজয়ী সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে একাধিক BJP কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান রাজ্যের সেচ ও জল দফতর মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, চণ্ডীপুরের বিধায়ক ও অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মন্ডল এবং মহিষাদল ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী-সহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানের শেষে দলত্যাগী তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে সুর চড়ান মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যারা ভুল বোঝাবুঝি করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিল, তাদেরকে আমরা ফিরিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু যারা তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার দলের বিরুদ্ধে বিশেষত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তাঁদের তৃণমূল ফিরিয়ে নেবে না। সোজা কথায় বলতে গেলে, যারা নরমপন্থী BJP ছিলেন, তাদেরি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বাকিদের নয়।”
উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গ ধরেই উঠে আসে শিশির অধিকারী ও তাঁর পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারীর কথা। এই বিষয়ে অখিল গিরি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “দিব্যেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীর অবস্থান সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ওই বিষয়ে যা বলার বলবেন আমরা কিছু জানি না। তবে শিশিরবাবুর ভীমরতি হয়েছে তাই গাড়ি চড়ে BJP-র পার্টি অফিসে গিয়ে ঢুকছেন। পুরভোটের আগে এলাকায় এলাকায় ঘুরছেন। এদিকে ৩ লক্ষ টাকা বেতনের লোভে পদটাও ছাড়তে পারছেন না।”
আরও পড়ুন……Imran Khan – মুখ পুড়ল ইমরান খানের, টুইটারে প্রথানমন্ত্রীকে কটাক্ষ পাকিস্তানি এমব্যাসি সার্বিয়ার
প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও গোলা চড়ান রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন,” এক মাস অপেক্ষা করুন ওঁর দলনেতা পদটাই চলে যাবে। আর দিব্যেন্দু তো তমলুকের সাংসদ, তমলুকের মানুষ কি ওঁর মুখ দেখে ভোট দিয়েছিল? ওঁকে কি উত্তম কুমারের মতো দেখতে? মানুষ ভোট দিয়েছে প্রতীকে, আর এখন পদ বা দল ছারছেন না। আর তলে তলে তৃণমূলের সর্বনাশ করছেন।”