বাজবে তো ঢাক! আদৌও হবে দলের ব্যানারে দুর্গাপুজো? কেন এত আশঙ্কা বিজেপির অন্দরে
গত বছরের ধুমধাম করে নিজেদের ব্যানারে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল বঙ্গ বিজেপি। সল্টলেকের ইউজেডসিসি বিল্ডিং এ মহা সমারোহে হয়েছিল মায়ের আবাহন। মূলত মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ই ছিলেন পুজোর মূল পুরোধা। তবে এক বছরের মধ্যেই তাসের ঘরের মত ছড়িয়ে গেছে বঙ্গ বিজেপির সংসার। আর তাই এবছর এত বড় পুজোর আয়োজন কে করবে তা নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কায় ভুগছেন বাংলার গেরুয়া শিবিরের অনেকেই।
বিগত বছরে বাঙালির মন জয়ে দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য বিজেপির বেশ কিছু নেতার আপত্তি থাকলেও কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের উদ্যোগে সল্টলেকের ইউজেডসিসি বিল্ডিংয়ে মহা সমারোহে দুর্গা পুজার আয়োজন করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবিরের কলকাতার বড় পুজো গুলোতে প্রত্যক্ষ যোগকে টেক্কা দিতেই এই পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করেছিলেন। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে।
একুশের হারে কার্যত বিধ্বস্ত বিজেপি শিবির। মুকুল ইতিমধ্যেই দলকে বিদায় জানিয়েছেন। বিধাননগরের দাপুটে নেতা সব্যসাচী দলীয় কর্মসূচির ধারে কাছে নেই। কৈলাশ বঙ্গ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন নিজের রাজ্যে। এই অবস্থায় এত বড় দুর্গাপুজোর আয়োজক কারা হবেন এই নিয়ে ইতিমধ্যেই টানাপোড়েন শুরু হয়েছে হেস্টিংসের অন্দরে। সূত্রের খবর দিলীপ ঘোষ গত বছরের এই পূজায় তেমন আগ্রহী ছিলেন না। তবু মুকুল-কৈলাশের উদ্যোগে ধুমধাম করে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয়। সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলির নৃত্যানুষ্ঠান সহ দৈনিক ভুঁড়ি ভোজ সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৈনিক ভাষণ কি ছিল না সেই পুজোয়!
তবে এবছর নির্বাচনে হারের কারণে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সেই উৎসাহ নেই বললেই চলে। এত বড় পুজো আয়োজন করার মত কেউ নেই আবার শাস্ত্র মতে শুরু হওয়া পুজো অন্তত টানা তিন বছর না করলে মা কুপিত হতে পারেন এই আশঙ্কাও রয়েছে। আবার শুধু ঘট পুজো করলে রাজনৈতিক মহলে চরম মুখ পুড়বে রাজ্য বিজেপির এই দোলাচলও রয়েছে। পুজোর আর মাত্র দেড় মাস মতো বাকি। এই অবস্থায় দুর্গা পুজা ঘিরে আবারো ভাবমূর্তি স্খলনের প্রমাদ গুনছেন অনেকেই।