Swasthaswathi- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলেও পাওয়া যাবে চিকিৎসা জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা

দেশ (India) স্বাধীন হওয়ার সময়ে যে একটি বিষয় নিয়ে মত পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল, তা হল স্বাস্থ্য (health)। ‘স্বাস্থ্য’ কি মৌলিক অধিকার হতে পারে? এই নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল সংবিধান (constitution) রচয়িতাদের। আজও সেই বিবাদ অব্যাহত। তামিলনাড়ুর ‘আরোগ্য’ থেকে মোদি (modi) সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ আর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে ঘাসফুল (AITC) শিবিরের তুরুপের তাস দলমত নির্বিশেষে সবার জন্যে ‘স্বাস্থ্য সাথি’।

সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ যাতে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর ২০১৬ সালে চালু করেছিল একটি প্রকল্প, ‘স্বাস্থ্য সাথী’। তার ঠিক চার বছর পর ২৬ শে নভেম্বর ২০২০ সালে চালু করা হয় ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড’। এরপর ২০২০ সালের ১লা ডিসেম্বর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee) ঘোষণা করেন রাজ্যের সকল মানুষকে এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যাতে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তিক মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। এছাড়াও ছোট-বড় মিলিয়ে ২৩৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ একজন রোগী তাঁর চিকিৎসার জন্য ওই কার্ডের মাধ্যমে সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন। এরফলে সাধারণ মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে নতুন প্রশ্ন, পরিবারের একজনের কোনও বড়ো চিকিৎসার খরচ বাবদ যদি কার্ডে নির্ধারিত সম্পূর্ণ টাকাই ব্যয় হয়ে যায় তাহলে কি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ আর পাবে না?স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের টাকা,‘স্বাস্থ্য’ কি মৌলিক অধিকার,স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলে কি হবে,মধ্যবিত্ত মানুষ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত,কিভাবে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা,swasthya sathi card money,what is the basic right of 'health',what will happen if the swasthya sathi card money runs out,middle class people are deprived of modern medical system,how to get the benefits of swasthya sathi card

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বাধ্যতামূলক হল এই কার্ড। সেক্ষেত্রে এর উপায়টা ঠিক কি তা প্রশ্ন তুলেছে অনেক মানুষ। তবে এবার এই প্রশ্নে জিজ্ঞাসা চিহ্নের বদলে দাঁড়ি টানলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলেও মানুষ সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে পারবেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে, টাকা আছে কি নেই, সেটা বড় কথা নয়।”

আরও পড়ুন……ambulence for cow- গরুর জন্য চালু হচ্ছে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স, ফের নতুন নজির এই বিজেপি শাসিত রাজ্যে

২৬ অক্টোবর রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর নতুন নির্দেশিকা জারি করে, তারা জানায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে হলে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকা আবশ্যিক।  আরও বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প কিংবা ESI কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে রোগীর কোনটাই না থাকলে, সরকারি হাসপাতাল থেকেই দায়িত্ব নিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রেই নয়, সরকারি হাসপাতালে PPP মডেলে তৈরি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গেলেও, রোগীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তাছাড়াও স্বাস্থ্য অধিকর্তা আরও বলেন, স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য ভাণ্ডার গড়ে তুলতেই সরকারি হাসপাতালে ওই কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।




Back to top button