পরবর্তী স্টেশন পশ্চিমবঙ্গ! বীরভূমে রয়েছে বিশ্বের ‘প্রথম’ হাসপাতাল ট্রেন
কর্মূসূত্র হোক বা ভ্রমণ ট্রেন সকলেরই জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজের স্থানে পৌঁছানো থেকে শুরু করে বাজেটের মধ্যে দেশ ভ্রমণ সবই সম্ভব ভারতীয় রেলের সহায়তায়। তবে এবার যদি বলি জীবন বাঁচাতেও হাজির এই ট্রেন! কি বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি? তাহলে জানিয়ে রাখি ভারতেই রয়েছে অভিনব এক ট্রেন যেটা আস্ত একটা ভ্রাম্যমান হাসপাতালও বটে। শুধু ভারতবর্ষে নয় গোটা বিশ্বের প্রথম হাসপাতাল ট্রেন হল এই ‘জীবনরেখা এক্সপ্রেস’।
হাসপাতালে রুগীর বিছানা থেকে শুরু করে অপারেশন থিয়েটার ওষুধপত্র যা কিছু থাকে তার সবই রয়েছে এই ট্রেনে। ১৯৯১ সালে চালু হওয়া ১৭ কামরার এই রেলগাড়িটি আসলে একটি আস্ত চলমান হাসপাতাল। এবং শুরু হওয়ার সময়ে এই ট্রেনটি বিশ্বে প্রথম এবং অদ্বিতীয় হিসেবে চালু হয়। অভিনব এই ট্রেনটি বাংলায় আসায় স্বভাবতই খুশি পূর্ব রেলের কর্মীরা। রবিবারই ট্রেনটি চিনপাই স্টেশনে এসে পৌঁছেছে বলে খবর।
এবার বাংলায় আগমন হল ‘জীবনরেখা এক্সপ্রেস’ এর ২০১৪ তম প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি অনুযায়ী। রবিবার সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং রেল অধিকর্তা চন্দ্রকান্ত দেশপান্ডে এই প্রকল্পের সূচনা করেন। অবশ্য এর আগেও বহুবার বাংলায় এসেছে এই জীবনরেখা এক্সপ্রেস। ১৯৯৪ সালে মেমারি, ২০০৯ সালে জঙ্গলমহল, ২০১৪ সালে জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে থেমেছিল এই ট্রেন।
ইতিমধ্যেই এই হাসপাতালে দুজন রোগীর ছানি অপারেশনও হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এমন অভিনব চিকিৎসালয় দেখতে স্থানীয়দের মধ্যেও প্রবল উৎসাহ। তাছাড়া হাতের কাছে হাসপাতালের সুবিধা পেয়ে নিজেদের সমস্যা নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন অনেক রোগীই। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এভাবেই বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরে পরিষেবা দিয়ে চলেছে এই বিশেষ ট্রেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে ভারতীয় রেলের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি NGO সম্মিলিত ভাবে এই রেল হাসপাতাল প্রকল্পের শুভ সূচনা করে। এই ট্রেনে একটি আধুনিক ডিসপেনসারির পাশাপশি রয়েছে ৩ বেড বিশিষ্ট একটি এবং দুই বেড বিশিষ্ট দুটি অপারেশন থিয়েটার।