United States News : বিষেই হয়েছে বিষক্ষয়! ২০০ এরও বেশি বিষধর সাপের কামড় খেয়েও দিব্যি জীবিত ব্যক্তি
সাপ নামটা শুনলেই অনেকে চমকে ওঠেন! ভয়ে গা শিউরে ওঠে অনেকেরই। আসলে ছোট থেকেই সাপের কামড়ের অনেক গল্প শুনেছে প্রত্যেকেই( United States News )। আর সেই সমস্ত গল্প শুনে মনের মধ্যে বেশ খানিকটা ভয় গেঁথে গিয়েছে। যদিও বর্তমানে টিভিতে ডিসকভারি চ্যানেলে বিভিন্ন ধরণের সাপের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে বাস্তবে সাপ দেখলে কিন্তু কম বেশি সকলেরই আত্মারাম খাঁচা হবার জোগাড় হয়।
জেনে নিন united states-এর এই অদ্ভুত ব্যক্তির কাহিনী
কিন্তু যদি বলি যে এই পৃথিবীতেই এমন এক মানুষ আছেন যিনি কি না যেচে সাপের কামড় খান। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন যেচে সাপের কামড় খান এক ব্যক্তি। তাও আবার একটি বা দুটি নয়, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ এরও বেশি সাপের কামড় খেয়েছেন তিনি।
নিশ্চই ভাবছেন এতবার সাপের কামড় খেয়েও বেঁচে আছে নিশ্চই বিষহীন সাপে কামড়ে ছিল। আজ্ঞে না! কাল কেউটে থেকে ব্ল্যাক মাম্বা সমস্ত ধরণের বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন তিনি।
United States- এর এই বাসিন্দা ২০০ সাপের কামড় খেয়ে বেঁচে আছেন এখনও
তিনিবলেন ৫২ বছর বয়সী এক ট্রাক চালক।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের বাসিন্দা এই ব্যক্তির নাম হল টিম ফ্রেডি৷ এখনও পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি সাপের বিষ নিজের শরীরে ইনজেক্ট করেছেন ফ্রেডি। তবে এতো পরিমান সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করার পরেও দিব্যি বেঁচে আছেন তিনি।
কিন্তু কিভাবে সম্ভব এটা? যেখানে বিষধর সাপের কামড়ে শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে মানুষ মারা যায় সেখানে কি করে বেঁচে আছেন ফ্রেডি!
জানা যায় বিগত ২০ বছর ধরে united states-এর এই ব্যক্তি নিজের শরীরে সাপের বিষ ইনজেক্ট করে আসছেন
শুধু তাই নয় ট্রাক চালানো ছাড়াও একটি ভয়ংকর শখ রয়েছে ফ্রেডির। বাড়িতেই বিশেষ কিছু বিষধর সাপ পুষেছেন তিনি। বিষাক্ত এই পোষ্য সাপের তালিকায় রয়েছে কেউটে সাপও।
কি আছে সাপের বিষে?
বিষধর এই সাপের বিষে রয়েছে সাইটোটক্সিন যেটা তাৎক্ষণিক মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। তবে সেই সাপের বিষ নিজের দেহে প্রবেশ করিয়েও আজ দিব্যি সুস্থ তিনি।
ফ্রেডির নিজের এই ক্ষমতার বিষয়ে মতামত
আসলে ফ্রেডির কথা মত, গোটা পৃথিবীতে ৩০০০ এরও বেশি সাপের প্রজাতি রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ২০০ এমন সাপ রয়েছে যারা বিষধর ও তাদের কামড়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই ২০০ ধরণের সাপের বিষই নিজের শরীরে প্রবেশ করিয়েছেন ফ্রেডি। দুএকবার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।
যদিও তাতে থেমে যাবার চিন্তাও করেননি ফ্রেডি। তার মতে শরীরে বিষ প্রবেশ করলে অ্যান্টিবডি তৈরী হয় যেটা পরবর্তী কালে সাপের কামড়ের থেকে বাঁচায়। যদিও এই পদ্ধতি একেবারেই অবৈজ্ঞানিক ও প্রাণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন : Today’s weather : ফের বাংলায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব, মেয়াদ ফুরালো শীতের