Hindu saints in Bengal : অলৌকিক কীর্তির কথা শোনা যায় আজও! একনজরে বাংলার হারিয়ে যাওয়া ৪ বিখ্যাত হিন্দু সাধক

ব্রিটিশ আমল হোক বা আদিকাল বাংলার(westbengal) মাটিতে বরাবরই জন্ম নিয়েছেন একের পর বিখ্যাত হিন্দু সাধকেরা। তাদের খ্যাতি বাংলা তো বটেই দেশ ছা়ড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দূর-দূরান্তেও( Hindu saints in Bengal )। আজ কথা হবে সেরকমই কিছু বিখ্যাত সাধকদের। ইহলোক থেকে বিদায় নিলেও তাদের ভক্তিপরায়নতার(devotees of Bengal) ছটা আজও উদ্বেলিত করে অগণিত ভক্তকূলকে ( Hindu saints )। বাংলার সাধকদের কথা স্মরণ করতে গেলে প্রথমের যার কথা মাথায় আসে তিনি হলেন সাধক রামপ্রসাদ(Ramprasad)।
রামপ্রসাদ ( Hindu saints in Bengal )
এদিকে প্রতি সাধকের জীবনের সঙ্গেই মিশে থাকে এমন কোনও না কোনও কিংবদন্তি। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মা ভবতারিণীর সঙ্গে কথা বলতেন বলেও শোনা যায়। বাবার মৃত্যুর পর কেরানির কাজ নিয়েছিলেন রামপ্রসাদ সেন। ১১২৭ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে ভাগিরথীর পূর্বতীরে অবস্থিত হুগলি শহরে শক্তিসাধক রামপ্রসাদ জন্মগ্রহণ করেন। রামপ্রসাদ ছেলেবেলা থেকেই সংসারের প্রতি অনাসক্ত ছিলেন। এমনকী বাবার মৃত্যুর পর গরানহাটার জামদার দুর্গাচরণ মিত্রের দপ্তরে মাসেক ত্রিশ টাকা বেতনে মুহুরীর কাজ শুরু করলেও সেখানেও বিশেষ মন বসাতে পারতেন না তিনি। হিসেবের খাতাতেই লিখে রাখতেন গান। ঈশ্বরিক শক্তিকে মাতৃরূপে সাধনার জন্য আজও অমর হয়ে আছেন সাধক রামপ্রসাদ।
সাধক কমলাকান্ত ( Hindu saints in Bengal )
অন্যদিকে রমাপ্রসাদের পরেই আসে সাধক কমলাকান্তের (devotee Kamalakanta) নাম। কমলাকান্তের তন্ত্র-সাধনাকে কেন্দ্র করে নানা লোক কথা আজও ছড়িয়ে রয়েছে জনমানসে। বর্ধমানের মহারাজ তেজচাঁদ কমলাকান্তকে এই কালীমন্দির(goddess kali) গড়ে দেন। এখানেই সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন সাধক কমলাকান্ত। মৃত্যুর পর তাঁর সমাধির ওপরেই মা কালীকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই কমলাকান্তই বেল কাঁটা মায়ের পায়ে ফুঁটিয়ে প্রমাণ করেছিলেন তাঁর আরাধ্যার প্রাণ আছে।
কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ ( Hindu saints in Bengal )
অন্যদিকে তালিকায় রয়েছে সাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের নাম। কৃষ্ণানন্দ(devotee krishnananda) ছিলেন সপ্তদশ শতকের এক উচ্চস্তরের তন্ত্রসাধক। তাঁর জন্ম নদিয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে। তান্ত্রিক কালী-সাধকদের মধ্যে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ অগ্রগণ্য। তাঁর প্রকৃত নাম কৃষ্ণানন্দ ভট্টাচার্য। তন্ত্র সাধনার আগম পদ্ধতিতে সিদ্ধি লাভ করে ‘আগমবাগীশ’ উপাধি পান তিনি। ১৬৩০ থেকে ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে বিখ্যাত তন্ত্রসার গ্রন্থটি রচনা করেন কৃষ্ণানন্দ।
বামাক্ষ্যাপা ( Hindu saints in Bengal )
কালী সাধকদের কথা উঠলেই বারেবারেই যাদের নাম সামনে চলে আসে তাদের মধ্য অন্যতম সাধক বামাক্ষ্যাপা(bamakhyapa)। ইতিহাস বলছে ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে অবস্থিত তারাপীঠের নিকটস্থ মালুটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কৈলাসপতি নামক এক তান্ত্রিক সন্ন্যাসীর বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। বামাক্ষ্যাপা কালীর আর এক রূপ মা তারাকেই মাতৃরূপে উপাসনা করেছিলেন। তার অলৌকিক কীর্তির কথা আজও শোনা যায় তারাপীঠের অলিতে গলিতে। এমনকী তাঁর অসীম ক্ষমতার দ্বারা অনেক দুরারোগ্য রোগও নাকি তিনি সারিয়ে তুলতে পারতেন।
আরও পড়ুন : 5G Trial : ভারতে চলে আসল ৫জি! ডাউনলোড হচ্ছে চোখের নিমেষে