‘চারিদিকে বোমাবর্ষণ, কোথায় যাব’ বাঙ্কার থেকেই কাতর আর্তি ইউক্রেনে আটক ভারতীয় পড়ুয়াদের

অহেলিকা দও, কলকাতা : ভালো কলেজে ( college) পড়ার স্বপ্ন ( dream) দেখার তাগিদ সকলেই, এই স্বপ্ন সফল করে বাইরে গিয়ে তাদের যে এতো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে সেটা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। হাজার পরিক্ষা, আর্থিক সমস্যা সবকিছু পার করে এখন যুদ্ধের মুখে ইউক্রেনে ( Ukraine news) পড়াশোনা ( study) করতে আসা ভারতীয়রা ( Indians)। এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে চায় সকলেই। তবে দেরি হয়ে গেছে অনেকটাই। বন্ধ এয়ারস্পেস ( Airspace), এমনকি টিকিটের (tickets) আকাশ ছোঁয়া দাম। প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া ( students) আটকে রয়েছেন ইউক্রেনে ( Ukraine news)।
‘কোথায় যাব, কীভাবে যাব… অস্থায়ী বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছি’
খারকিভ ন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এক পড়ুয়ার বক্তব্য, “বিদ্ধস্ত পরিস্তিতি। আমরা কলেজের কয়েকজন বন্ধু অস্থায়ী বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছি। কেন্দ্রের তরফে উদ্ধারকারী বিমান পাঠানোর কথা বললেও, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের ( Ukraine news) পশ্চিম সীমান্তে পৌঁছনো অসম্ভব। এখান থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরে ওই সীমান্ত। আমরা বাড়ির সামনের সুপারমার্কেটেই যেতে পারছি না, ইউক্রেন সীমান্তে যাওয়া তো দূরের কথা। সারাদিন ধরেই বোমাবর্ষণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। কোথায় যাব, কীভাবে যাব, সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি আমাদের।”
‘টিকিটের সর্বনিম্ন দামই ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা…’
ইউক্রেনে ( Ukraine news) থাকা সকল ভারতীয়দের বক্তব্য, “বিগত ৩-৪ দিনে পরিস্তিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। বাঙ্কারগুলিও ভর্তি হয়ে এসেছে। রাস্তায় বেরনো যাচ্ছে না। চারিদিকে গুলি বোমা বর্ষণ। দেশে ফেরার উপায় নেই। পর্যাপ্ত সংখ্যক বিমান না থাকায় এবং টিকিটের সর্বনিম্ন দামই ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা হওয়ায় অনেকের পক্ষে সম্ভব নয় এই মুহূর্তে দেশে ফেরা।” কেন্দ্রের তরফেও যে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেও এতো গুলি বোমা বর্ষণের মধ্যে কীভাবে পড়ুয়ারা দেশে পৌঁছবেন, তাও জানেন না।
আরও পড়ুন….পুতিনের পক্ষেই রয়েছেন বঙ্গ বামেরা, রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করে ভাঙল নিস্তব্ধতা
‘প্রথম বিস্ফোরণের পরই ওয়াই-ফাইয়ের নেটওয়ার্ক উড়ে গিয়েছে… বাড়ির লোকজনেদের সঙ্গে কথা’
অপর একজন পড়ুয়াদের বক্তব্য, “আমরা শুধু এইটুকুই জানি যে বাঙ্কারে থাকতে হবে আপাতত। কতদিন এভাবে আমরা টিকে থাকতে পারব, জানিনা। খাবার বলতে শুধু কলা ও বিস্কুট রয়েছে, সেটাই খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। প্রথম বিস্ফোরণের পরই ওয়াই-ফাইয়ের নেটওয়ার্ক উড়ে গিয়েছে। মোবাইলে যেটুকু ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে, তা ব্যবহার করেই বাড়ির লোকজনেদের সঙ্গে কথা বলছি।”
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি ইউরোপীয় রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড়ো যুদ্ধ বলা যেতে পারে। ন্যাটো সহ কোনো দেশই ইউক্রেনের ( Ukraine news) সাহায্যে পাশে দাঁড়ায় নি। তাই ইউক্রেন এখন বিদ্ধস্তের মুখে। রাজধানী কিয়েভ সহ শহরগুলিতে বোমাবর্ষণ হওয়ার ফলে ইউক্রেনীয় বাহিনী সমস্ত ক্রমাগত লড়াই করে যাচ্ছে রাশিয়ান আক্রমণকারীদের সাথে।