বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার আক্রমণ, নির্বাচন মিটতেই জ্বালানির জ্বালায় জ্বলতে পারে সাধারণ

বিশ্ব জুড়ে বেজে উঠেছে যুদ্ধের রণডঙ্কা। গত বৃহস্পতিবার থেকে একের পর এক বোমা জেরে কেঁপে উঠছে ( Russia-Ukraine War ) ইউক্রেন। কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন কিন্তু নেই কোনও রকম উন্নতি। রাশিয়া মাঝে মাঝেই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা করলেও নিজের ঘোষণাকে নিজেই পালন করতে ব্যর্থ তিনি। ইতিমধ্যে ফের একবার ( Russia-Ukraine War ) সাময়িক যুদ্ধ বিরতির ডাক দিয়েছে পুতিন সরকার। তবে নিজের প্রতিশ্রুতি নিজেই কতক্ষণ পালন করতে পারবেন এই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরও।

তবে এই যুদ্ধের মাঝে অন্য সমস্যার ইঙ্গিত পাচ্ছে বিশ্ববাসী। রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ দেশই তা মুখে প্রকাশ করতে পারছে না। এই বহিঃপ্রকাশ না  করার সব থেকে বড় কারণ বিশ্ব বাজারে জ্বালানিতে ( Russia-Ukraine War ) রাশিয়ার এক প্রকার একাধিপত্য। ইউরোপ মহাদেশে ব্যবহৃত জ্বালানির অধিকাংশ আসে রাশিয়া থেকে। সেই কারণে ন্যাটো কিংবা ইউরোপ ইউনিয়ন ইউক্রেনের পক্ষে থেকে মুখ বন্ধ করে থাকতে বাধ্য আজ। আর শুধুই যে ইউরোপ  ইউনিয়ন এমনটা মোটেই নয়। ভারতের জ্বালানির বহু শতাংশ আসে রাশিয়া হয়েই।

Russia-Ukraine Warএদিন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝে পড়ে বিশ্ব বাজার পড়েছে বেশ বিপাকে। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্ব বাজার অপরিশোধিত তেল বা ক্রুড ওয়েলের দাম ছুঁয়েছে ১৩০ মার্কিন ডলা প্রতি ব্যারল। তবে অশনি সংকেত যে শুধুই তেলের ক্ষেত্রে দেখা গেছে এমনটা মোটেই নয়। এদিন ভারতীয় শেয়ার বাজার খোলার সাথে সাথেই দেখা গেছে বিরাট পতন। বর্তমানে শেয়ার বাজারের মোট সেনসেক্স পয়েন্ট ৫২ হাজার ৭০০। সকাল সকাল বাজার খোলার সাথে সাথেই দেখা গেল পতন। ১৬০০ পয়েন্ট নীচের লাফ দিল সেনসেক্স।

আরও পড়ুন..‘লোকের পরোয়া করিনা, আমরা আমাদের জীবন উপভোগ করব… ‘ – নতুন শোএ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন শিল্পা

শেয়ার বাজারে পতন ও  বিশ্ব বাজারে জ্বালানির চড়া দাম যেন  হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বিশ্বের আর সকল দেশগুলিকে। তবে বিশ্ব বাজারে জ্বালানির এই দাম বৃদ্ধির চাপ এখনও পড়েনি ভারতীয় নাগরিকদের মাথার উপর। আর সেই নিয়ে বেশ চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বিশ্ব বাজারে যখন জ্বালানির দাম সেই রকম প্রভাব ফেলছিল না, তখন ( Russia-Ukraine War ) পেট্রোল-ডিজেলের দামে সেঞ্চুরি দেখে ছিল জনগণ। কিন্তু আজ যখন ১৩০ মার্কিন ডলার দাম পৌঁছে গেছে বিশ্ব বাজারে, তখনও কেন সেরকম পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দামে? নির্বাচনকেই এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। আশঙ্কা নির্বাচন মিটতেই হু হু করে বাড়তে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। নির্বাচনী আবহে মানুষের ভোট পেতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। আজ উত্তরপ্রদেশের শেষ দফার ভোট। ফলাফল আসতেই হয় তো বদলে যেতে পারে দেশে জ্বালানির দাম। এই পরিস্থিতি ফের বিপদের মুখে সাধারণ নাগরিক।




Leave a Reply

Back to top button