২০৪০ -এ ডুবে যাবে সাধের তিলোত্তমা,আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের

রিমা শিয়ালী,কলকাতা: মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে আর এর ফলেই বেড়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নও ( global warming ) ।বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেই পৃথিবীতে ঘটে চলেছে একের পর এক অঘটন। পৃথিবীর বুকে দেখা গেছে বন্যা,খরা এবং দাবানলের মতো ঘটনা। এমনকি সমগ্র বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে এই বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে। ফলস্বরূপ সম্পূর্ণ জলমগ্ন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় শহর। আর এই শহর গুলির মধ্যে এই সর্বপ্রথমে উঠে এসেছে তিলোত্তমা নগরী কলকাতার ( kolkata ) নাম।২০৪০ সালের মধ্যেই কলকাতার আবহাওয়া পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণরূপে ডুবে যেতে পারে কলকাতা শহর ( Kolkata going Underwater ) এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ ( IPCC ) ।
ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ। সেই রিপোর্টে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর সাথেই সেই রিপোর্টে কলকাতাসহ পৃথিবীর আরও অনেক শহরেই বিপদের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতার আবহাওয়া ভবিষ্যতে পরিবর্তিত হতে চলেছে।কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বুকে নেমে আসতে চলেছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এবং আগামী সময়ে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা। এরূপ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলেই কলকাতাসহ আশেপাশের শহরগুলোতেও দেখা যেতে পারে ভয়াবহ বন্যা।আশঙ্কার বিষয় এই যে এই ধরনের ভয়ানক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো সঠিক পরিকাঠামো কলকাতায় নেই।
কলকাতা ছাড়াও ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি মহানগরী।এর মধ্যে রয়েছে টোকিয়ো, ওসাকা, করাচি,
তিয়ানজিন,জাকার্তা,ম্যানিলা।রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ২০টি বড় শহর চলে যেতে পারে জলের তলায়।রিপোর্টে বলা হয়েছে যে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে চলেছে।আর বিগত কয়েক বছরে কলকাতার আশপাশেই সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেছে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ভাঙতে শুরু করেছে।ফলে সুন্দরবনের অবস্থা আরও আগে থেকেই খারাপ হতে পারে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।ভবিষ্যতে পরিবেশের অবস্থা আরো ভয়ানক হতে পারে এবং এর জন্য বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:দ্যা কাশ্মীর ফাইলস কি একটি ইসলাম বিরোধী ছবি! জেনে নিন সত্যি
বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী প্রতি বছরই ধীরে ধীরে বাড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বন্যার পরিমাণ বাড়বে কলকাতায়। ধীরে ধীরে কলকাতার আবহাওয়া পরিবর্তিত হবে এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে বিশেষজ্ঞদের অনুমান ২০৪০ সালের মধ্যেই যে কোনও সময়ে জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে কলকাতা। সম্পূর্ণরূপেই তিলোত্তমা নগরী চলে যেতে পারে জলের তলায়।
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair 2022: ২৫ বছর পর রেকর্ড গড়ল কলকাতা বইমেলা, গর্বে বুক ফুলছে বাঙ্গালির