‘…তোদের চিতা আমি তুলবোই’, বহিষ্কৃত হয়েই কবিতায় মহুয়ার হুঙ্কার

Breaking: বহিষ্কৃত হয়েই তুলোধোনা মহুয়ার

ক্যাশ-ফর-কোয়েশ্চেন অভিযোগের পর কৃষ্ণনগরের বিধায়ক পদ থেকে সরানো হল মহুয়া মৈত্রকে। এথিক্স কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তের পর কার্যত ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন ‘প্রাক্তন’ সাংসদ।

পদ থেকে বহিষ্কারের পর মহুয়া বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ‘আমি লোকসভার সংসদীয় ইমেইল আইডি ভাগ করে নিয়েছি, শুধু তার ভিত্তিতে আমাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সংসদের নিয়মে ইমেইল আইডি নিয়ে কোনও নিয়ম নেই। যদি মোদী সরকার ভাবে আমার সংসদ পদ খারিজ করে আদানি ইস্যু নিয়ে চুপ করানো যাবে, তবে আমি বলছি শুনুন, এই ক্যাঙারু কোর্ট প্রমাণ করল, কীভাবে আইনের অপব্যবহার করা হল, আদানি আপনাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে একজন মহিলা সাংসদকে হেনস্থা করা হল।’

উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey) একটি চিঠির ভিত্তিতে মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির (Darshan Hirandani) কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ‘ক্যাশ ফর কোয়েরি’ কেস সংক্রান্ত বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই চিঠি এবং অভিযোগগুলি মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন সঙ্গী ও অ্যাডভোকেট জয় দেহদ্রায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছিল। হিরানন্দানি এবং দেহদ্রাই উভয়েই লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে এই বার্তা রেখেছিলেন। এরপর লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই বিষয়টি তুলে ধরে কংগ্রেস। তারপর অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে তাঁকে তাঁর পদ থেকে বহিষ্কৃত করে দেওয়া হয়। বাইরে বেরিয়েই রেগে ওঠেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি তেরেফুরে ওঠেন। এরপরই তাঁর মন্তব্য, ‘কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমায় এমনভাবে অপমান করা হল। আমার বয়স ৪৯। আরও ৩০ বছর লড়ব।’

 




Leave a Reply

Back to top button