মমতা ফুঁসে উঠলেন মহুয়ার বহিষ্কারে, আবারও প্রার্থী লোকসভা ভোটে ?
Mamata Banerjee: মমতার বক্তব্য, বিজেপি গণতন্ত্রের সঙ্গে লড়তে পারে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য একজন তরুণ প্রজন্মের মুখকে হেনস্থা করেছে। মমতা বলেন, "গণতন্ত্রকে হত্যা করা হল এভাবে। দল মহুয়া মৈত্রের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা সুবিচার চেয়েছিলাম। ২-৩ মাস বাদে ভোট। এর থেকেই বোঝা যায় বিজেপি কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ।"

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন যে মহুয়া মৈত্রের সমর্থনের সুযোগও ছিল না। শুক্রবার মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ বাতিল করা হয়েছে। কৃষ্ণনগরের সাংসদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। খবর আসতেই কার্শিয়াং থেকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন মমতা। তিনি বলেন, “ভারতীয় সংসদের জন্য এটা খুব দুঃখের দিন। মহুয়া মানুষের ভোটে নির্বাচিত। বিজেপি তাঁকে ভোটে পরাজিত করতে না পেরে, আত্মপক্ষ সমর্থনের না দিয়ে, ৪৯৫ পাতার রিপোর্ট পাঠিয়ে আধ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিল। বারবার ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা বলেছেন, রিপোর্ট পড়ার সুযোগ দিন। তাও দেওয়া হয়নি।”
এদিন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করছেন মহুয়া আবার তৃণমূলের হয়ে লড়বেন কি না। মমতার উত্তর, “না হওয়ার তো কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত দেখছি না। আর ওকে তো কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার প্রেসিডেন্টও করা হয়েছে। তাছাড়া দল তো ওর পাশেই দাঁড়িয়েছে। যা হয়েছে তা তো ধ্বনি ভোটে হয়েছে। হাত তুলে ভোট, কোনও সুযোগ না দিয়ে। পাস, পাস, পাস হয়ে গেল। এটাও রেকর্ড থাকবে। ওরা তো গণতন্ত্রের বাইপাস সার্জারি করে দিল।”
মমতার বক্তব্য: মহুয়া ভোটে নির্বাচিত সাংসদ। তিনি বলেন, “বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করল, সংসদের সঙ্গে প্রতারণা করল, সংবিধানের সঙ্গে প্রতারণা করল। আমরাও তো অনেকে সংখ্যায়। আমরাও তো অনেক কিছু করতে পারি। তবে এটা কি ঠিক? আমি বলব এক্ষেত্রে মহুয়া পরিস্থিতির শিকার হল। আমি তীব্রভাবে এর বিরোধিতা করি। ইন্ডিয়া জোট ও দল লড়বে।”