বিধানসভায় গায়েব হাত! রাজনীতির ময়দানে দলকে পুনরায় নিয়ে আসতে মরিয়া সোনিয়া

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা : আবার পুনরুজীবন ফিরে পেতে চাইছে কংগ্রেস ( Congress revive ) । বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই দল ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কারণ খুঁজে চলেছে একের পর এক। সমাধানের পথ বের করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। বিধানসভা নির্বাচনে অপ্রত্যশিত ফল দেখার পর প্রয়োজন দ্রুত আমূল ব্যবস্থার বদল। অন্যথা, ঐতিহ্যবাহী দল ধুলোয় চূর্ণবিচূর্ণ হতে পারে। পাঁচটি রাজ্যের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেল কংগ্রেস ( Congress revive ) । বিজেপির জাতীয় বিকল্প বলে দাবি করতে পারবে না কংগ্রেস। ২০২৪ এর সংসদীয় নির্বাচনে অ-বিজেপি বিরোধী গঠনের নেতৃত্ব আশা করা দুর অস্ত। একের পর এক নির্বাচনী পরাজয়, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ দলটির মর্যাদা এবং প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই কমে গেছে।
কংগ্রেসের ১৩৭ বছর ধরে থাকা একটি দলের পর্যুদস্ত অবস্থা ঠাহর করা বেশ মর্মান্তিক। গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব এবং অন্যান্য অস্তিত্ব সম্পর্কিত প্রশ্নগুলি প্রকট হতে শুরু করেছে। দল টিকে থাকার জন্য আরও একটি রূপান্তরের সময় এসেছে। কংগ্রেসকে ( Congress revive ) আবার নতুন করে নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে। গান্ধী পরিবার কংগ্রেসের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। জাতীয় শক্তি এবং ভারতীয় রাজনীতির একটি প্রভাবশালী পরিবারের ব্যক্তিত্বে কেন্দ্রীভূত হাইকমান্ডের আর প্রয়োজন নেই বলে জানা যাচ্ছে। পটভূমিতে গান্ধী পরিবারের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। যদিও কংগ্রেসের গল্প এখনও শেষ হয়নি। সাম্প্রতিক বিধানসভার ফলাফল অনুযায়ী পাঁচটি রাজ্যের হারলেও, উত্তরাখন্ড, গোয়া এবং মণিপুরে বিজেপির পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস।
আরো পড়ুন ড্রিম ইলেভেন ফ্যান্টাসি ক্রিকেট, নিজের পছন্দের দল করতে পারে বাজিমাত, রইল খেলার নিয়ম
কংগ্রেস পুনরুজ্জীবিত হতে পারে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে শুধুমাত্র যদি গান্ধী পরিবারতন্ত্র থেকে থেকে সরে আসে। পাঞ্জাবে গান্ধীদের নিবিড় হস্তক্ষেপে দলটি ভেঙে যায়। রাজ্যে আপ দলের শক্তিশালী এবং যোগ্য স্থানীয় নেতা ছিল। নির্বাচন পরিচালনার স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হলেও, কংগ্রেস জয়ের চোয়াল থেকে পরাজয় ছিনিয়ে নিতে পারত না। কংগ্রেসের ( Congress revive ) প্রয়োজন এই মূহুর্তে সততার সাথে আত্মবিশ্লেষণ করা। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া অত্যাবশ্যক কারণ ২০২৪ পর্যন্ত সমস্ত বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাটে কর্ণাটক, রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে। আপ দল ইতিমধ্যেই হিমাচল এবং গুজরাটে ডানা মেলতে শুরু করেছে। বিজেপির প্রধান বিরোধী হিসাবে কংগ্রেসকে স্থানচ্যুত কিভাবে করতে পারে তা সম্পূর্ণভাবে কংগ্রেসের ( Congress revive ) উপর নির্ভরশীল। দুর্ভাগ্যবশত, বছরের পর বছর ধরে, একটি পরিবারের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। কংগ্রেসকে আঞ্চলিক ইউনিটগুলির জোট বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় বলতেন কংগ্রেস বিভিন্ন স্বার্থের জোট। আঞ্চলিক নেতাদের জোটের প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিকরণ এখনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।