হাস্যকর তুলনায় রামিজ, আইপিএল-‌পিসিএল এর তুলনা টেনে হাসির খোরাক পাক-‌রাজা

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা  : আবার স্কোয়ার লেগে বল ঠেললেন রামিজ রাজা। ক্রিকেট লিগ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে টেনে আনলেন ক্রিশ মরিশকে। আইপিএল এর সঙ্গে পিসিএল এর তুলনা  (  IPL-PCL )  করে কূটকচালিতে মাতলেন। বলেই ফেললেন ক্রিস মরিসের একটি বল অন্যান্য লিগের বেতনের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। আইপিএলের সঙ্গে পিএসএল এর নিলামের ড্রাফ্ট-পিক সিস্টেম লেভেল নিয়ে এক উচ্চাভিলাষী মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া, আইপিএল আর্থিক গতিশীলতা আসলে কীভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করে রাজার আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন। চোপড়া পিএসএল ( IPL-PCL )  আর্থিকভাবে আইপিএলের সঙ্গে মিলতে পারে একথা মাথাতেই আনতে নারাজ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা এইপিএল বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেট লিগের ক্ষেত্রে অবিসংবাদিত লড়াইয়ের মঞ্চ। অন্যান্য লিগ যেমন পিএসএল, বিবিএল, দ্য হান্ড্রেড, সিপিএল এগুলোতে শুধু ক্যাচ-আপ খেলা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বা পিসিবির সভাপতি রমিজ রাজা পাকিস্তান সুপার লিগের সম্পর্কে মন্তব্যে অনঢ়।IPL-PCL

যদিও অস্বীকার করার কিছু নেই যে পিএসএল -‌এর জনপ্রিয়তা প্রতি বছর বাড়ছে। তবে আইপিএলের ধারেকাছে নেই পিসিএল। রামিজ রাজা অবশ্য মনে করেন, আইপিএলের মতোই পিএসএল-এর ড্রাফ্ট-পিক প্রক্রিয়ায় নিলাম করার চিন্তাভাবনা চলছে। পাকিস্তান ক্রিকেটে আর্থিক পরিস্থিতি আরো বাড়লে অর্থনীতির চালক হবে পিএসএল।  পিএসএলকে( IPL-PCL )   নিলামের মডেলে নিয়ে গিয়ে পার্স বৃদ্ধি করলেই আইপিএল এর সমতূল্য স্তরে রাখতে বাধা নেই বলে জানালেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। তারপর দেখা যাবে কোন ক্রিকেটার পিএসএলে,আর কোন ক্রিকেটার আইপিএল খেলতে যায় বলেন পিসিবি প্রধান। রাজার আশা পাকিস্তানি ক্রিকেট ভক্তদের দ্বারা প্রশংসিত।

আরো পড়ুন‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ ১৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম ১০ দল নিয়ে আইপিএল, ক্রিকেটের ভালোমন্দ শিকেয়

রমিজ রাজা বলেন “যদি ড্রাফ্টের পরিবর্তে নিলাম করা হয় তবে পিএসএলে ১৬ কোটি টাকায় খেলতে একজন খেলোয়াড়কে দেখা যাবে না। এটি কিছুতেই সম্ভব নয়, বাজারের গতিশীলতা এটি হতে দেবে না।

আকাশ চোপড়া প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের উদাহরণ টেনে বলেন অন্যান্য লিগের তুলনায় আইপিএল অফারগুলির মধ্যে বেতনের পার্থক্য রয়েছে। আইপিএল থেকে মরিসের শেষ ড্র ছিল প্রতি বছর ১৬.২৫ কোটি টাকা। অতএব ক্রিস মরিস যে বলটি শেষবার খেলেছিল, অন্যান্য লিগের খেলোয়াড়দের বেতনের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল ছিল। এরপর আইপিএল, পিএসএল,( IPL-PCL )   বিবিএল, এর সাথে নিজেকে প্রতিযোগিতা করা বা তুলনা করা কি সম্ভব? দ্য হান্ড্রেড নাকি সিপিএল? ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল যারা আইপিএল দেখে তারাই অনেক টাকা দেয়। ভারতে ১৩০ কোটি জনসাধারণ। এটাই দেশের সম্পদ, অন্য কেউ নেই তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। রেফারেন্সের জন্য, আইপিএল ২০২২ নিলামে ১৫.২৫ কোটি টাকায় ইশান কিষান সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রয় হয়েছিল। অন্যদিকে, পিএসএল-এর সর্বোচ্চ আয় করা ক্রিকেটার বাবর আজম। প্রতি মরশুমে মাত্র ৩ কোটি যা ভারতীয় মুদ্রায় ১.২৭ কোটি আয় করেন।




Leave a Reply

Back to top button