পুতিনের যুদ্ধ অপরাধী কাজ অব্যাহত, ইউক্রেনকে বিদ্যুৎ ছিন্ন করতে তৎপর

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা : রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত। জনজীবন নাকাল করে পুতিন মেতে উঠেছেন এক নতুন খেলায়। অমানবিক রূপ ধারন করে চলেছেন দিনের পর দিন। পুতিন ভালোরকমই জানেন রিঅ্যাক্টরগুলো দখল করে নিলে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহ ( Nuclear Reactors ) বন্ধ হয়ে যাবে। ইউক্রেন জুড়ে ১৫টি পারমাণবিক চুল্লি ছড়িয়ে রয়েছে যা দেশটিকে তার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। জাপোরিঝজিয়া হল ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের পরে ৪ মার্চ, ২০২২-এ রাশিয়ান সৈন্যরা ( Nuclear Reactors ) দখল করে নেয়। এই রিঅ্যাক্টরগুলো দখলের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা কথা চিন্তা করছে পুতিন।
ইউক্রেনের বিপুল পরিমাণ শক্তির চাহিদা এই পারমাণবিক চুল্লি থেকে মেটানো হচ্ছিল। চেরনোবিলও ইউক্রেনীয়দের বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল রাশিয়ান সেনাবাহিনী দখল নেওয়ার আগে। জাপোরিঝিয়া রাশিয়ার দখলকে খুব উদ্বেগজনক বলে মনে হয়েছিল। এটিতে ছয়টি চুল্লি রয়েছে যার কাছাকাছি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি খুব বিপজ্জনক মনে হয়েছিল। রিঅ্যাক্টরের ( Nuclear Reactors ) মাথায় সরাসরি বোমা নিক্ষেপ না করলে তেজস্ক্রিয়তা প্রকাশ করবে না। বোমা হামলার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে মূল সমস্যা।
চুল্লি ঠান্ডা করার জন্য জল পাম্প করতে হবে। এর জন্য একটি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
আরো পড়ুন ঋষি কাপুরের শর্মাজি নামকিন-এর ট্রেলারের মুক্তিতেই বাজিমাত, অপেক্ষায় ঋষিভক্তরা
বোমা হামলার কারণে বিদ্যুতের গ্রিড নিষ্ক্রিয় হলে, চুল্লিটি বন্ধ করতে হবে নাহলে এটি বিস্ফোরিত হবে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে। ইউক্রেনে ডিজেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎও সরবরাহ ব্যবস্থা হলে একই সমস্যা হবে ( Nuclear Reactors ) । ইউক্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ পারমাণবিক শক্তিই বিদ্যুতের বেশীরভাগ অংশ সরবরাহ করে। ফ্রান্স পারমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করেনি এবং বর্তমানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৭০ শতাংশ শক্তি পাচ্ছে। পারমাণবিক শক্তি শক্তির একটি প্রধানতম উপকরণ।