রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ছাত্র নবীন, মৃতদেহ বিজ্ঞানকে দান পরিবারের

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা : মহৎ উদ্দ্যেশ্য। নবীনের মৃতদেহ ( Naveen body ) বিজ্ঞানকে দান করতে ইচ্ছুক পরিবার। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে নিহত ভারতীয় ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। ২১ বছর-বয়সীর ছাত্র নবীনের মৃতদেহ, বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর পর তার ভাই হর্ষ এবং অন্যান্য আত্মীয়রা তার পরিবারের গ্রাম কর্ণাটকের চালাগেরিতে নিয়ে যাবে। ভারতীয় ছাত্র নবীন শেখরপ্পা জ্ঞানগৌদ্দার ১ মার্চ যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনে গোলাগুলির বর্ষনে নিহত হন। প্রায় তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর নবীনের পরিবার জানান নবীনের মৃতদেহ ৩২ কিলোমিটার দূরে দাভানাগেরে শহরে অবস্থিত একটি মেডিকেল কলেজে দান করবেন। কর্ণাটকের চালাগেরি গ্রামে নবীনের( Naveen body ) পরিবার বেশ উদ্বিগ্ন ও শোকাহত। তবে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অবশেষে ছেলে মাতৃভূমিতে ফিরে আসছে। শেষকৃত্য ও আচার অনুষ্ঠানের পর এসএস মেডিকেল কলেজে নবানের দেহ দান করার পরিকল্পনা করেছে পরিবার। নবীনের চিকিৎসা বিজ্ঞানে খুব আগ্রহ ছিল। ডাক্তার হতে চেয়েছিল। তাই মনে হয়,নবীনের শরীর দান করলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী হতে পারে, বললেন মৃত ছাত্রের বাবা শেখর গৌড়া।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদেহটি পোল্যান্ড হয়ে বেঙ্গালুরু কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা। নবীনের পরিবারের ছোটো ছেলে( Naveen body )। বড় ভাই হর্ষ যিনি কৃষিতে পিএইচডি করছেন। ২১ বছর-বয়সী ছাত্রের দেহ নিরাপত্তার কারণে খারকিভ থেকে সরানো হয়েছিল এবং পশ্চিম-মধ্য ইউক্রেনের শহর ভিন্নিতসিয়াতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। পাঞ্জাবের বার্নালা জেলার আরেক ভারতীয় ছাত্র চন্দন জিন্দাল ২ মার্চ ব্রেন স্ট্রোকে মারা গিয়েছিলেন সেখানেই। ইউক্রেন থেকে ভারতীয় ছাত্রদের শেষ ব্যাচ কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অপারেশন গঙ্গা’-এর অধীনে ১৩ মার্চ ভারতে ফিরেছে।
আরও পড়ুন প্রচলিত যৌনতা, সেক্স বৈষম্য নিয়ে খুল্লামখুল্লা জলসা অভিনেত্রী শেফালী শাহ
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নবীনের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়ি চালাগেরিতে আনা হবে।নবীনের পরিবার তার বাবার অবসর গ্রহণের পর গত দুই বছর ধরে হাভেরি জেলায় অবস্থিত চালাগেরিতে বসবাস করে। আগে তারা মাইসুরুতে থাকতেন যখন শেখর গৌড়া দ্য সাউথ ইন্ডিয়া পেপার মিলস লিমিটেড-এ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরিরত ছিলেন। নবীনের ( Naveen body )মা বিজয়লক্ষ্মী ছেলের মরদেহ ভারতে আসার প্রায় ২১ দিন হয়ে গেলেও একই ভাবে শোকস্তব্ধ হয়ে বসে আছেন।