“সবাই ভিউ বাড়াতে আসে, খিদের খবর রাখে না!” দুঃখে কাঁদো কাঁদো ‛লতা-কণ্ঠী’ রানু

অনীশ দে, কলকাতা: আজ থেকে বছর তিনেক আগে ইন্টারনেটে ভাইরাল হন রানু মণ্ডল। লতাকণ্ঠির গাওয়া এই গান রাতারাতি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এমনকি পরবর্তীকলে বলিউড সুরকার হিমেশ রেসমিয়া গান গাওয়ান রানু মণ্ডলকে (Ranu Mondal) দিয়ে (Ranu Mondal living in crisis)। কিন্তু তারপরে রানুকে আবার ফিরে আসতে হয় এই বাংলায়। ফিরে আসার পর বাংলার অনেক ইউটিউবার তার সাথে দেখা করে, ভিডিও বানায় কিন্তু একটি সমস্যা থেকেই যায়। খাবারের অভাব, হ্যা যে মানুষের গান সারা দেশে সমাদৃত হয়েছে, মুম্বাইয়ের মত জায়গায় যিনি কাজ করে এসেছেন আজ তার খাবারের অভাব (Ranu Mondal living in crisis)।
বেশিরভাগ দিনই সকালে খান দুটি মেরি বিস্কুট আর লিকার চা, দুপুরে ৫ টাকার এক প্যাকেট চাউমিন সিদ্ধ এবং রাত্রে বেশিরভাগ দিনই কিছু খেতে পান না। খালি পেটে ঘুমিয়ে পড়তে হয় রাত্রে। কিন্তু এক সময়ে খ্যাতির শীর্ষে থাকা মানুষটির (Ranu Mondal) আজ এই অবস্থা কেন? তার খ্যাতির জন্যই তাকে ক্ষুধার্থ থাকতে হয়, এমনই মনে করেন নেটিজেনদের একাংশ (Ranu Mondal living in crisis)। কারণ এখন চাইলেও বাটি হতে রেল স্টেশন চত্বরে বসতে পারেন না তিনি কারন তিনি যে ‘রানু মণ্ডল’।
বেশ কিছু ইউটিউবার যে তার খ্যাতি ভাঙিয়ে ভিউ তোলার চেষ্টা করে সেটা অজানা নয় রানু মণ্ডলের। তিনি বলেছেন, “গান শোনার শখ! সারাক্ষণ বাড়িতে ভিড়। কিন্তু কোনও জানোয়ার একটু খাবার আনে না! শুধু ভিডিও করে লাইক বাড়ানোর ধান্দা।” কাতর স্বরে তিনি আরও বলেন, “খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করে, গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোবে কী করে?” ইন্টারনেটের জেরে একদা সবার চোখের মণি হয়ে ওঠেন রানু।
কিন্তু মানুষের খারাপ সময়ে তার পাশে কেউ জানতে চায় না। একসময় হাইমসের পাশে দাড়িয়ে গান করা রানু আজকে দুবেলা ভাত জোটাতে অক্ষম। মুম্বাইতে দীর্ঘদিন সময় কাটালেও পরে আবার সেই পুরনো রংচটা, লকলকে টিনের চালের বাড়িতে ফিরে আসেন রানু। বাড়ির সামনে থেকে বড় গাড়ি গেলে যেনো মনে হয় বাড়িটা এখনই ধসে পড়বে। এমনকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরে গেলে তবেই দেখা মেলে চালহীন বাথরুমের। খাবার জলের উৎস বলতে বাড়ির বাইরের একটি মরছে পড়া টিউবওয়েল।
আরও পড়ুন:আদর করে গাল চটকানোর মানুষটাই হারিয়ে গেল! ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে ব্যতিক্রান্ত অঙ্কুশ
সারাক্ষণ ইউটিউবারদের উৎপাতের কারণে দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটে বলে জানান তিনি। এমনকি তাদের রক্ষার জন্য সবসময় গেটে তালা দিয়ে রাখেন তিনি এমনকি থুতুও ছিটিয়ে দেন তাদের গায়ে। এই কারণে আশেপাশের সবাই তাকে মানসিক রোগী ভাবে। কিন্তু মুম্বাইতে গিয়ে কাজ করার দরুন যে খ্যাতি তিনি পেয়েছেন তাও উপভোগ করতে পারলেন না তিনি। ঘরে রেডিও, টিভি বা স্মার্টফোন কিছুই নেই। মুম্বাই থেকে কি পেয়েছেন এই প্রশ্ন করে লতাকণ্ঠি জানান, “দেখে বুঝতে পারছেন না কী পেয়েছি? যারা মুম্বই নিয়ে গিয়েছিল তাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করুন।”