একি হাল পর্দার ফুলনদেবীর! কলকাতার পথে ডিম-পাউরুটি বিক্রি করলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী সীমা বিশ্বাস

তিনি ডাকাত রানি। এক সময় বিখ্যাত ফুলনদেবীর চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের মন কেড়েছিলেন তিনি। শেখর কাপুর পরিচালিত ‘ব্যান্ডিট কুইন’-এ তার অভিনয় আজও চিরস্মরণীয়। তিনি সীমা বিশ্বাস। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর সেই ছবি। আর তারপর থেকেই একের পর এক সুপারহিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন মানুষকে। খামোশি, ওয়াটার ইত্যাদি। চিরকালই খুব বাছাই করা চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন তিনি। তাঁকে কোনও চলচিত্রে রোল দেওয়ার আগে বেশ কয়েকবার ভাবনা চিন্তা করতে হয় সেই ছবি নির্মাতাকেও। কিন্তু, তাঁর এই খুঁতখুঁতে স্বভাব তাকে কখনই পিছনে ঠেলে দেয়নি। বরং তাঁর প্রতিভা সঙ্গে নিয়ে পার করিয়েছে হাজারও সিড়ি।
নিজেকে ‘থিয়েটার কন্যা’ বলেই দাবি করেন তিনি। আসলে তা সত্যিই! অসমে জন্ম অভিনেত্রীর। অল্প বয়স থেকেই থিয়েটারের দিকে বিরাট ঝোঁক। দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি। একসময় এখানে এসে লাগাতর রবীন্দ্রনাথের ‘স্ত্রীর’ পত্র মঞ্চস্থ করেছিলেন তিনি। আজ আবার বছর ১৩ পরে সেই কলকাতার পথ-ঘাট ছুঁয়ে গেলেন তিনি। কিন্তু, এখন যেন পাল্টে গেছে সেই ফুলনদেবীর পোশাক-আশাক। পরনে সাদা শাড়ি। পথের ধারে বসে ডিম-পাউরুটি বিক্রি করছেন। এমন ঘটনা দৃশ্য সিনেপ্রেমীদের চোখে পড়তেই মুর্হূতে মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন তারা। তবে শেষমেশ খোলসা হল সেই দৃশ্যরহস্য।
বর্তমানে পরিচালিত রাজদীপ পাল ও শর্মিষ্ঠা মাইতি নতুন ছবি ‘মন পতঙ্গ’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। আর সেই অভিনয়ের একটি দৃশ্যতেই পথের ধারে ডিম-পাউরুটি বিক্রি করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। আপাতত ছবির স্যুটিং শেষ হয়েছে দিন কয়েক আগেই। অত্যাচারের ভয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা এক প্রেমিক-প্রেমিকা চলে আসেন শহরে। সেখানে তাঁদের বাসস্থান হয় শহরের ফুুটপাত। আর সেই ফুটপাতের এক পাশেই নিজের ছোট্ট ডিম-পাউরুটির দোকান চালান সীমা বিশ্বাস। একেবারেই প্রেমের রোমাঞ্চ দিয়ে ঘেরা এই চলচিত্রের গল্প। ছবির স্যুটিং চলাকালীন অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে সংবাদমাধ্যমকে জানান, “কলকাতা আমার বড় প্রিয় শহর। তাই এতদিন পর এসে কাজ করতে ভালই লাগছে। ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরাও ভাল কাজ করছেন। গল্পটাও খুব সুন্দর।”