রুপোর থালা ভরা মিষ্টি! পঞ্চব্যাঞ্জন সহকারে কেমন কাটলো শোভন-বৈশাখীর প্রথম জামাইষষ্ঠী?

বছরের প্রায় প্রতিদিন চর্চার মধ্যে থাকেন শোভন-বৈশাখী(Sovon-Baishakhi)। আপাদমস্তক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হলেও নিজেদের নতুন জীবন নিয়েই মিডিয়া লাইমলাইটে বেশি দেখা যায় তাঁদের। কখনও পায়ে পা মিলিয়ে নাচ কিংবা কখনও গলায় গলা মিলিয়ে গান। এই সব কিছুকেই সর্বদা তুলে ধরতে ব্যস্ত মিডিয়া। গতকাল মিটল জামাইষষ্ঠী। আর সেই সাড়ম্বরেই পালিত হল শোভনের জামাইষষ্ঠী পর্ব বা বলা চলে, শোভন-বৈশাখীর প্রথম জামাইষষ্ঠী(Jamai Sasthi) পর্ব। মা অসুস্থ থাকায় নিজের গোলপার্কের বাড়িতে জামাইষষ্ঠী পালন করলেন বৈশাখী। নিজের হাতেই মিষ্টিমুখ করালেন স্বামীকে, তারপর করলেন আশির্বাদ। 

রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জামাইষষ্ঠী পালনের ছবি পোস্ট করে বৈশাখী লেখেন, “জামাই ষষ্ঠী মানেই মা ষষ্ঠীর পুজো। মায়ের আদেশ মেনে শোভনের জন্য সমস্ত আয়োজন করেছি। মায়ের কাছে শোভন ছেলের থেকেও বেশী। আমার মা খুবই অসুস্থ। তবু তাঁর নির্দেশেই এই সব ব্যবস্থ। এমনকি সমস্ত কিছু দেখভাল করেছি নিজেই”। একেবারে থালা ভরে পঞ্চব্যাঞ্জন সাজিয়ে দেন বৈশাখী। রূপোর থালায় ভর্তি মিষ্টি। তার সাথেই রুপোর গ্লাসে জলের ব্যবস্থা। পাত জুড়ে রকমারি বাঙালি খাবার। সেই সঙ্গে রুপোর চামচে নিজের হাতেই শোভনকে মিষ্টি খাইয়ে দেন তিনি। 

sovon baishakhi1

জামাই আদরে খাওয়ানোর পাশাপাশি শোভনকে উপহারও দেন বৈশাখী। তবে সেটা অবশ্য কী উপহার তা জানাননি তিনি। কিন্তু ছবি দেখে গয়নার বাক্স বলেই ধারণা করা গিয়েছে। একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে, শোভনের মাথায় বৈশাখীর স্নেহভরা স্পর্শ। মিষ্টির পরেই ছিল মূল ভোজ। একাধিক বাটিতে নানা রকমের বাঙালি পদ। মাংস থেকে শুরু নিরামিষ রান্না পর্যন্ত সকল প্রকার পদের ব্যবস্থা ছিল। তবে শুধুই বৈশাখী নয়! তাঁর কন্যা মহুল খাইয়ে দেন শোভনকে। 

প্রসঙ্গত, বাংলার বুকে বেশ রোমান্টিক একটি জুটি শোভন-বৈশাখী। বছরের প্রায় প্রতিটা দিন তাঁদের প্রেম মিডিয়া লাইমলাইটে থাকে। গতবছর দশমীর দিনে মা দূ্র্গাকে একপ্রকার সাক্ষী রেখেই বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন। পরে তিনি বলে সেই সিঁদুর খেলা মোটেই ছেলেখেলা ছিল না।  এরপরই একটি ভিডিও বার্তার মধ্যে দিয়ে শোভনবাবু জানান, “আমি শোভন চট্টোপাধ্যায়। আজ থেকে আমার দুই নয়, তিনটে সন্তান। সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়, সুহানি চট্টোপাধ্যায় এবং রীণা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীণাকে আমি ও বৈশাখী উভয়ে বড় করে তুলছি। আমি চাই আমার তিন সন্তানই জীবনে সফলতা পাক।” তবে সেই  সিঁদুর দান বিবাহের স্বীকৃতি কি না তা এখনও স্পষ্ট করেননি দু’জনে।




Leave a Reply

Back to top button