অন্তঃসত্ত্বাকালীন ধর্ষণ! স্টুডিওর ফ্লোর ডুবেছিল রক্তে, জন্মদিনে স্মৃতি উস্কে অকপট মৌসুমী চ্যাটার্জি

অনীশ দে, কলকাতা: বলিউড এবং টলিউড উভয় ইন্ডাস্ট্রিতেই চুটিয়ে কাজ করেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Moushumi Chatterjee)। ‘বালিকা বধূ’ থেকে শুরু করে, ‘পিকু’, ‘গয়নার বাক্স’ পর পর ভিন্ন স্বাদের ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই বাঙালি অভিনেত্রীর আসল নাম ইন্দিরা চট্টোপাধ্যায়। এখন তেমন কাজ না পেলেও একসময় বলিউডের হায়েস্ট পেইড অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। বিনোদ খান্না, ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor), জিতেন্দ্র, রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna) থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) প্রায় সমস্ত সুপারস্টারের বিপরীতেই অভিনয় করেছেন তিনি।

mou 2

১৯৭২ সালে শক্তি সামন্তের হাত ধরে বলিউডে পদার্পন করেন মৌসুমী (Moushumi Chatterjee)। একাধিক হিট হিন্দি ছবির পাশাপাশি অভিনয় চালিয়ে গেছেন বাংলা ছবিতেও। একসময় তার রূপের ঝলক দেখে আট থেকে আশি সবাই ভিরমি খেত। একবার মৌসুমী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি খুব ভালো ফ্লার্ট করতে পারি, শুধু মানুষের সাথে নয়। আমি গাছ, পশু, পাখি সবার সাথেই অনায়াসে ফ্লার্ট করতে পারি। শাবানা আজমি একবার বলেছিলেন আমি এবং শশী কাপুর আট থেকে আশি সবার সাথে ফ্লার্ট করতে পারি’ ।

mou 3

রুপোলি পর্দার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মানুষ সর্বদাই উৎসুক। ফারুক শেখ, বিনোদ মেহরা একাধিক বলিউড অভিনেতার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। তবে পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি জানান বিনোদ মেহরা শুধুই তার ভালো বন্ধু। তিনি এও জানান, ‘আমি গুজবে কান দিই না। আমার কাছের মানুষরা জানতেন আমি কার সাথে কোথায় কবে গিয়েছি। আর আমার স্বামী তো আমায় সবসময় সাপোর্ট করেন’। এমনকি মৌসুমী এমনও জানান, একাধিকবার নিজের ক্যারিয়ারের জন্য বিনোদের পরামর্শ নিয়েছেন মৌসুমী। ‘অনুরাগ’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

তপন মজুমদার যখন বালিকা বধূ বানাবেন বলে ঠিক করেন, তখন তার চোখে পড়ে এক ষোলো বছরের মেয়ে, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। খুব অল্প বয়সেই মৌসুমী বিয়ে করেন হেমন্ত পুত্র জয়ন্তকে। স্বাভাবিক ভাবেই অল্প বয়সে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন তিনি। রোটি কাপরা আউর মাকান ছবিতে একটি ধর্ষণ দৃশ্য ছিল। সেই কাণ্ডের দৃশ্যায়নের অভিজ্ঞতা জানান মৌসুমী। তিনি জানান, ‘ওই ধর্ষণ দৃশ্য শুট করার সময় আমার শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। খানিকক্ষণ পর আমার রক্তপাত হয়। সাথে সাথে আমায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাগ্য ভালো আমার সন্তানের কোনও ক্ষতি হয়নি’।




Leave a Reply

Back to top button