North Bengal: মেঘের কোলে এক রাত! প্রকৃতির হাতছানিকে অনুভব করতে আজই পাড়ি দিন উত্তরবঙ্গের এই গ্রামে

বাঙালি মানেই দিপুদা। অর্থাৎ দিঘা, পুরী, দার্জিলিং ( Darjeeling )। এই তিন ভ্রমণস্থলে বছরের যে কোনও সময়ই বাঙালির দেখা মেলে। আর এই তিনের মধ্যে বাঙালির মন কাড়া ভ্রমণস্থল মানে একটিই তা হল দার্জিলিং। দৈনন্দিন জীবন থেকে হটাৎ করে ক’দিনের ছুটি মানেই ঘুরে আসা যাক দার্জিলিং ( North Bengal )। কিন্তু আগের মতো সেই জমজমাটি ব্যাপারটা দার্জিলিং শহরে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় অনেকেরই মন উঠেছে সেই শহর থেকে। আর মন চায় না দার্জিলিংয়ের হইচইকে। মন যেন খোঁজে শান্তি।
স্বাভাবিক ভাবেই আজও উত্তরবঙ্গের বহু এলাকাই শান্ত ও নির্লিপ্ত। মানুষের কোলাহল সেখানে আজও বিশেষ নেই। ভ্রমণ প্রেমীরা এই এলাকাগুলিকে নাম দিয়েছে অফবিট জায়গা বলে। মানুষের কোলাহল থেকে দূরে এই রাজ্যের বুকেই যেন অন্য এক দুনিয়া রয়েছে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং ( kalimpong ) অনেকটা জমজমাটি হলেও উত্তরবঙ্গের বুকে আজও বেঁচে আছে শান্ত-নির্লিপ্ত নানা অফবিট জায়গা। যেখানে নেই মানুষের বিশেষ আনাগোনা। দিন প্রতিদিনের চাষাবাদকে সঙ্গে করেই জীবন চলে সেই সকল এলাকার মানুষদের। আর আপনিও যদি এই রকম শান্ত পরিবেশের সন্ধানী হন তা হলে দেরী না করে এখনই চলে যান পাহাড়ে কোলে বাগোরাতে।
কুয়াশাচ্ছন্ন পর্বত, সবুজ প্রকৃতি সঙ্গে আবার গভীর নিস্তব্ধতা। পাহাড়ে কোলে এ যেন এক অন্য রকম পৃথিবী তাও আবার আমাদের এত কাছে। বাগোরার এই নিদর্শন মানুষের ভোলার নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাত হাজার ফুট উচ্চতায় রয়েছে এই গ্রামটি। শহরের ঝঞ্ঝাকে একেবারে অনেক দিনের জন্য দূরে ঠেলে দিয়ে নিমিষে ছুটি কাটিয়ে ফেলা যায় উত্তরবঙ্গের এই গ্রাম। পাহাড়ি মানুষদের সঙ্গে আড্ডা, গান-বাজনা, রাতের আগুন পোহানো যেন এক অন্যরকম সুখ। যা শুধুই মিলবে এই বাগোরাতে। তারমধ্যেই আবার চারিদিকের সবুজ ভূমি দেবে অন্য আনন্দ। কিন্তু কীভাবে যাবেন এই বাগোরাতে? বলে রাখা ভালো, শিলিগুড়ি ( North Bengal ) থেকে বিশেষ দুরত্বে নয় এই গ্রাম। অল্প হাতছানিতেই আমরা ছুঁয়ে ফেলতে পারি বাগোরার ( Bagora ) সৌন্দর্যকে।
সবুজে ভরা এই গ্রামে পৌঁছতে সবার প্রথমেই নেমে পড়তে হবে শিলিগুড়ি কিংবা জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখানে নেমেই শুরু আসল সফর। সেই স্টেশন থেকে ধরে নিতে হবে দার্জিলিংগামী কোনও ট্রেন। তারপর মুহূর্তের মধ্যেই পৌঁছে যেতে হবে দিলারাম। সেখান থেকে ফের গাড়ি নিয়ে পৌঁছোতে হবে বাগোরা। বাগোরা গ্রামের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটেই জিরো পয়েন্ট পৌঁছে যেতে পারেন। গ্রাম ঘোরা, পাখি দেখা যেমন চলবে তেমনই এখান থেকে চিমেনি, লাতপাঞ্চোর, মংপু, চাতালপুর ঘুরে আসা যাবে।