West Midnapore : “মুজিবরকে বিয়ে করতে চাই….” সকল বাঁধা টপকে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন প্রেমিকা

নেহা চক্রবর্ত্তী, কলকাতা : ভালোবাসা কোনো গণ্ডি মানেনা কখনও। একটা প্রবাদে বলাই আছে ‘এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ ‘। আর তার আরও একবার প্রমাণ দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার চন্দ্রকোণা হাটপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সালমা খাতুন। নিজের প্রেমিক মুজিবরের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে। কেন করলেন তিনি এমন!
মুজিবর থাকেন চন্দ্রকোণা (Chandrakona) ক্ষীরপাই পৌর এলাকায়। কাশিগঞ্জের বাসিন্দা মুজিবর সেনাবাহিনীর কর্মী । মুজিবরের সঙ্গে প্রায় ৮ বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে সালমার। সম্পর্কের বয়সের সাথে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। সালমার অভিযোগ, মুজিবরের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক জানতে পেরে তাঁর পরিবার তাঁকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপরেও সালমার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন মুজিবর। বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য তিনি সালমাকে চাপও দিয়েছিলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন সালমাকে। এছাড়াও মুজিবরের বিরুদ্ধে
অভিযোগ উঠেছে সালমার থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতানোর । এদিকে মুজিবরের কথা শুনে শ্বশুরবাড়ি (In Laws House) ছেড়ে বাপেরবাড়িতে চলে যান সালমা। কিন্তু সেখানেই ঘটে গন্ডগোল। সালমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন মুজিবর।
এরপরই মুজিবরের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে ধরনা শুরু করেন সালমা। প্ল্যাকার্ডে লেখা “আমি মুজিবরকে বিয়ে করতে চাই। অন্যায়ের প্রতিবাদ চাই। মুজিবরের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। যতক্ষণ না মুজিবর আমায় বিবাহ (Marriage) করে ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্না চলবে।” সেই দৃশ্য দেখতে মুজিবরের বাড়ির সামনে পাড়া প্রতিবেশীদের ভিড় উপচে পড়ে। সালমাকে স্থানীয় পুলিশ চাপ দেয় ওখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সে অনড় তাঁর দাবিতে। বিয়ে (Love Marriage) না করা পর্যন্ত ধর্না জারি রাখবেন বলে সাফ জানান সালমা।