Travel In West Bengal: পকেটে আছে কিছু অল্প টাকা? চিন্তা নেই করে ফেলুন একদিনের ওয়ার্ক ফ্রম ট্যুর

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: বাঙালি যেমন ভোজন প্রিয়, তেমনই ভ্রমণ প্রিয়ও বটে। তাই বেশিক্ষণ একজায়গায় থাকলেই মনে হয় একটু ঘুরে আসি। কি, ঠিক বললাম তো? যদিও বর্তমান যুগে সবাই এখন ব্যস্ত নিজের নিজের কর্মক্ষেত্রে। তবুও এই ব্যস্ত সিডিউলের মধ্যে যদি একটু ছুটি পাওয়া যায়, তাহলেই মনটা কেমন ভ্রমণের ( Travel In west Bengal ) কথা বলে। বছরের মাঝামাঝি এরই মধ্যে অফিস থেকে ছুটি পেয়েছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোথায় যাবেন?
তাহলে এবার আর উত্তরে নয় পরিবারের সবাই মিলে চলে যান বাংলার একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে। চারিদিকে পাহাড়,নদী আর সাগর দিয়ে ঘেরা বেশ কয়েকটি সুন্দর ( Travel In west Bengal ) জায়গা। তাও সেখানে পৌঁছাতে পারবেন মাত্র একদিনের সফরেই। সুন্দরবন, বকখালি মতো মনোরম পরিবেশেই কাটিয়ে আসুন আপনার অবসর সময়। চলুন আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আরও সুবিধা করে দি আমার ভ্রমণের।
সুন্দরবন
চারিদিকে নদী আর ম্যানগ্রোভ ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দরবন। ভারতের একটি জাতীয় উদ্যান হিসাবেও চিহ্নিত করা হয় এই সুন্দরবনকে ( sundarbans )। পরিবারকে নিয়ে ছোট্ট টুর প্ল্যান করলে কিন্তু মন্দ হয় না। হঠাৎ করেই বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হয়তো দেখা পেতে পারেন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের। ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারস’ থেকে গর্জনকারী নদী এবং সুন্দর মোহনা পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ প্রকৃতির বৃত্ত দিয়ে সাজানো এই দ্বীপ এটি একটি ( UNESCO ) বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান যেখানে নোনা জলের কুমির সহ বিভিন্ন ধরণের পাখি এবং সরীসৃপও রয়েছে।
ফলতা নদীর তীরে একটা দিন
আরও এক নদীর শহর ফলতা। সপ্তাহ শেষে উইকএন্ডে সময় কাটানোর এক সুন্দর স্থান ফলতা। কলকাতা থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫২ কিলোমিটার। ফলতা ( Falta ) নদীর পাশেই পেয়ে যাবেন একাধিক পিকনিক স্পট। দক্ষিণে হুগলি ও দামোদর নদী এবং উত্তরে রূপনারায়ণ ও হুগলি নদীর সঙ্গমস্থল দ্বারা চিহ্নিত এই স্থানটি সম্পূর্ণরূপে হুগলি নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। এখানে গেলেই দেখতে পাবেন সুন্দর খামারবাড়ির জন্য পরিচিত- বিখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর সেই বোস বিজ্ঞান মন্দির। আর এই খামারবাড়ির মাঠেই সেরে ফেলতে পারেন পিকনিক। এরপর ফলতা, নদী পার হতে ফেরি দেখার জন্য ফলতা জেটি যেনও একদম মিস করবেন না। ইচ্ছা করলে পছন্দের মানুষটিকে সঙ্গে করে নদীর ধার দিয়ে হেঁটেও আসতে পারেন।
বকখালি
মূল শহরের কোলাহল থেকে দূরে এবং কলকাতা থেকে মাত্র ১২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি মনোরম পরিবেশ। সুন্দরবনের কাছাকাছি অবস্থিত এই দ্বীপটি এটি নিজেই একটি হ্যালসিয়ন গেটওয়ে। বঙ্গোপসাগর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই দ্বীপটি ( bakkhali ) কলকাতা থেকে একদিনের ভ্রমণের জন্য সহজ একটি স্থান। সড়ক পথে কলকাতা থেকে আনুমানিক ৩.৫ ঘন্টা পৌঁছাতে পারবেন এই দ্বীপে। নামখানা নিকটতম রেলওয়ে জংশন হওয়ায় রেল সংযোগটিও বেশ সুবিধা জনক। ঘূর্ণায়মান তরঙ্গ ছাড়াও, কেউ কুমির এবং ম্যানগ্রোভ বন পরিদর্শনের আনন্দে লিপ্ত হতে পারে এখানে গিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের মুকুটমণিপুর
কলকাতা থেকে একদিনের ভ্রমণের জন্য আরও একটি আদর্শ জায়গা হলও মুকুটমণিপুর ( Mukut manipur )। সবুজ পাহাড় এবং জঙ্গলে ঘেরা একটি আকর্ষণীয় সৌন্দর্য নিজের মধ্যে তৈরি করে আছে এই স্থানটি। কলকাতা থেকে যার দুরত্ব প্রায় ২৬৩ কিলোমিটার। এখানেই আছে ভারতের পাশাপাশি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থ ড্যাম। যেটি তৈরি হয়েছে কংসাবতী নদী এবং কুমারী নদীর সমাবেশে বাঁধের দ্বারা। অপরূপ সবুজ এই প্রাকৃতিক পরিবেশে মৃদু ঢেউয়ের লেকটি সূর্যাস্তের একটি দুর্দান্ত দৃশ্য দেখায়। চারিদিকে লাল মাটি। বাঁধ ছাড়াও, এখানে রয়েছে পরশনাথ পাহাড়, বানপুকুরিয়া হরিণ পার্ক বা প্রাচীন শহর অম্বিকানগর এর ধ্বংসাবশেষ। তাহলে আর দেরি কেনও এখনি পরিবারকে সঙ্গে করে বেরিয়ে পরুন আপনার পছন্দের জায়গায়।