স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ বিদ্যাসাগর সেতুর, খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে মেরামতির কাজ
ভারতের সবচেয়ে বড় স্টেইড সেতু। কিছুদিন পরেই শুরু হবে রক্ষণাবেক্ষণ। খরচ পড়বে প্রায় 55 কোটি টাকা।

শুভঙ্কর,কলকাতা: এবার রাজ্যের আরও একটি সেতু মেরামতির কাজ শুরু হবে। বিদ্যাসাগর সেতুর কাজ করা হবে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই সেতুর অবস্থা খুব একটা ভাল নেই। দ্বিতীয় হুগলি সেতু নামে বেশি পরিচিত এই সেতুর কাজ শুরু হতে পারে দূর্গা পূজার পরপরই। বর্তমানে এই সেতুর বয়স ৩১ বছর। এটাই ভারতের প্রথম এবং সবচেয়ে দীর্ঘ কেবল স্টেইড সেতু। দ্বিতীয় হুগলি সেতু ৮২৩ মিটার লম্বা। সেতুর স্বাস্থ্য খারাপ হতেই কদিন আগে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকেই ঠিক করা হয় দুর্গাপুজো কেটে গেলেই শুরু হবে এই কাজ।
১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিদ্যাসাগর সেতুর শিল্যানাস করেন। ১৯৯২ সালে যানবাহন চলাচলের জন্য এই সেতু খুলে দেওয়া হয়। তারপর ২০১৩ সালে রাজ্য সরকারের প্রধান কার্যালয় রাইটার্স বিল্ডিং থেকে সরিয়ে নবান্নে নিয়ে আসার পর এই সেতুর গুরুত্ব আরও বাড়ে।এই ব্রিজের ওপর দিয়ে সারাদিনে প্রায় লক্ষাধিক গাড়ি যাতায়াত করে। বিশেষ করে ভারী যানবাহন চলে। এছাড়াও এই ব্রিজ দিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রচুর নিত্যযাত্রী যাতায়াত করে। এই হেন গুরুত্বপূর্ণ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হলে ট্রাফিককে কোন দিকে ঘোরানো হবে তা নিয়ে প্রশাসনের মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। পুজোর ছুটির আমেজ কাটিয়ে এই কাজ শুরু হলে সমস্যায় পড়বেন অফিস যাত্রীরা। বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
নবান্নে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। এছাড়াও ছিলেন পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্য এবং পূর্ত দফতরের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা। তবে এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ জার্মানির ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। দুর্গাপুজোর পর জার্মানি থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল কলকাতা আসবে বলে সূত্রের খবর। সেতুর নকশা করেছিল জার্মান কারিগরী সংস্থা শ্লায়েশ বার্জারম্যান পার্টনার। তার ফলে তাদেরকেই এই কাজের জন্য আনা হচ্ছে। বিদ্যাসাগর সেতু মেরামত করার জন্য খরচ হতে পারে প্রায় ৫৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে মনে করা হচ্ছে এই খরচের বহর আরও বাড়তে পারে।