সপ্তাহান্তে টো টো করছে মন? হাতে দেড় দিনের সময় নিয়ে বেড়িয়ে আসুন বর্ধমান
অল্প দিনের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন বর্ধমান। রইল সুলুক সন্ধান

পূর্বাশা, হুগলি: প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে বেড়ানোর ডাক দেয় মন। ঘর ছাড়িয়ে দূরে কোথাও ছুটতে চায় সে। এদিকে ছুটিতে টান আর পকেট বেসামাল। এদিকে মনের আব্দার যে রাখতেই হবে! তাহলে উপায়? আমাদের ঘরের কাছেই আছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যে মোড়া দুর্দান্ত উইকএন্ড স্পট। হাতে দেড় দিনের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন বর্ধমান থেকে। দামোদরের তীরে সোনারোদ মাখা এ শহর ইতিহাসের ভাণ্ডার সাজিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে আপনার।
কী কী দেখবেন বর্ধমানে?
আগে বর্ধমান জেলা একসঙ্গে থাকলেও বর্তমানে পূর্ব ও পশ্চিম দুভাগে বিভক্ত হয়েছে এই জেলা। এখানে এলে আপনি যেমন পাবেন রাজবাড়ী, তেমনই পাবেন মন্দির, মসজিদ, সমাধি ও ঐতিহ্যবাহী বর্ধমান ক্যাম্পাসের সাহচর্য। একনজরে দেখে নিন এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলি।
১) কার্জন গেট: বর্ধমান শহরের প্রবেশদ্বার এই গেট বহন করছে ইতিহাসের তাৎপর্য ২) শের আফগানের সমাধি: সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নুর জাহানের স্বামী শের আফগান মারা জান এক যুদ্ধে বর্ধমানের নিকটে। তাই তাঁর সমাধি এখানে নির্মাণ করেন বর্ধমানের রাজা। ৩) কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির: বর্ধমানের কাঞ্চননগরে অবস্থিত এই মন্দির পূর্ব বর্ধমানের দ্বিতীয় নবরত্ন মন্দির। ৪) শিব মন্দির:বর্ধমানে ঘুরতে এলে অবশ্যই দেখতে হবে এখানকার ঐতিহ্যবাহী নবাবহাটের ১০৮ শিব মন্দির। ৫) গোলাপবাগ: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত এই গোলাপবাগ পর্যটকদের এক অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও এখানে দেখে নিতে পারেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, সর্বমঙ্গলা মন্দির, পীর বাহারামের বাজার, সায়েন্স সিটি-সহ অন্যান্য স্থানগুলি।
কিভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে বর্ধমান লোকাল-সহ যে কোনো বর্ধমানগামী ট্রেনে বসে রওনা দিলেই পৌছে যাবেন গন্তব্যে। সেখানে পৌছে একটি টোটো ভাড়া করে দেখে নিন দর্শনীয় স্থানগুলি। বর্ধমান শহরে থাকতে চাইলে অবশ্যই পেয়ে যাবেন বেশ কিছু ভালো হোটেল। তাহলে আর দেরি কিসের? ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন গন্তব্যে।