আমার পদবী মোদি নয়…আমার পদবী বন্দোপাধ্যায় , ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ঝাঁঝালো আক্রমণ অভিষেকের
বিদেশে যাওয়ার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি যেতেও পেরেছেন। কিছুদিন আগেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। তবে সেই সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে বলা হতে থাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় “ফেরার”। সেই অভিযোগের কড়া বার্তা আজকের দিলেন তিনি।

শুভঙ্কর পাত্র, কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে নিজের চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। আমেরিকায় যাওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলগুলোর বিভিন্ন নেতারা বলতে থাকেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পালিয়ে গিয়েছেন। আর ফিরবেন না। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও একটা হইচই শুরু হয়। বিজেপির নেতা থেকে বাম,কংগ্রেসরাও বাদ যাননি। আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সেই ঘটনা নিয়ে কড়া আক্রমণ করলেন অভিষেক। মেয়ো রোডের জনসভা থেকে তৃণমূলের অলিখিত ‘সেকেন্ড ইন কামান্ড’ বলেন, “ আমার পদবী মোদী নয়, কিংবা আমার পদবী চোকসি নয়, আমি মালিয়া নই। আমার পদবী বন্দোপাধ্যায় আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই”।
উল্লেখ্য একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় চোখের আঘাত পান অভিষেক। তারপর চিকিৎসা করান। সেই চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ হিসাবে আমেরিকায় যাওয়ার জন্য হাইকোর্টের দারস্ত হন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি অনেক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বিভিন্ন মামলায়। সে ক্ষেত্রে দেশের বাইরে যাওয়ায় বাঁধা রয়েছে তাঁর। তাই বিদেশে যাওয়ার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি যেতেও পেরেছেন। কিছুদিন আগেই দেশে ফিরে আসেন । তবে সেই সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে বলা হতে থাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফেরার। সেই অভিযোগের কড়া বার্তা দিলেন তিনি।
জনসভা থেকে তিনি বলেন, “ আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। সংবাদমাধ্যমে এমন হাওয়া তোলা হল আমি নাকি আর ফিরব না। দেখেছেন? আমার পদবী মোদি না, অভিষেক আমি চোকসিও নই, আমার পদবী মালিয়া নয়, আমার পদবী বন্দ্যোপাধ্যায় আমরা মাথা নিচু করি না। নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথা উঁচু করে লড়তে জানি। নিচু করে বশ্যতা স্বীকার করে দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করতেও জানি না”। এখানেই থামতে চাননি তিনি। অভিষেক আরও বলেন, “ যারা বলেছিলেন আমাকে ঢুকতে দেবো না তাঁরা কোথায় গেলেন? বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর আমায় ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে দেননি। বলেছিলেন আগে থেকে বলে আসতে হবে। দিলীপ ঘোষ নিজের বুথে হেরে গিয়েছেন। বাংলায় বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছেন সেই গ্রামে হেরেছেন । বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী তো পুরসভা ভোটে নিজের বুথে হেরে গিয়েছেন।“