কলকাতায় চন্দ্রযান! হ্যাঁ এই ভাবনাতেই সাজছে এবারের আমহার্স্ট স্ট্রিটের পল্লীর যুবক বৃন্দের পুজো
পুজোর আর মাত্র কটা দিন। মায়ের আসার দিন এগোচ্ছে। প্রহর গুনছে বাঙালি। সেজে উঠছে শহর থেকে শহরতলী। এবার দুর্গা পুজোতে বিশেষ ভাবনা নিয়ে উপস্থিত, কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের পল্লীর যুবক বৃন্দের পুজো।

শুভঙ্কর, কলকাতা: চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান-৩। প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ-মেরুতে অবতরণ করেছে ভারত। এখন চাঁদে রাত্রি নামায় ‘ঘুমিয়ে’ পড়তে হয়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে। বিজ্ঞানীদের এই সাফল্য দেশ জুড়ে বিভিন্ন রকম ভাবে পালন করা হচ্ছে। সামনেই দুর্গাপুজো। তাই বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের সম্মান জানানোর জন্য এর থেকে ভালো সুযোগ আর নেই। এজন্যই কলকাতায় চন্দ্রযান-৩ নামানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। ব্যাপারটা একটু গোলমাল ঠেকছে তাই না? তাহলে পরিষ্কার করেই বলা যাক।
কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের পল্লীর যুবক বৃন্দের পুজো এবার ৬২তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। তাদেরই থিম চন্দ্রযান। চন্দ্রযান-৩য়ের বিভিন্ন বিষয় এই থিমের মাধ্যমে দর্শণার্থীদের সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। বাংলা জুড়ে পুজো নিয়ে উন্মাদনা কবে থেকেই শুরু হয়েছে। জোর কদমে চলছে প্রতিমা তৈরি থেকে মন্ডপ বাধার কাজ। তাই আর দেরি না করে আমহার্স্ট স্ট্রিটের এই ক্লাব শুরু করে দিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। খুঁটি পূজার দিনেও তাঁদের বিশেষ চমক ছিল । প্রথমে ড্রোনের মাধ্যমে প্রতীকী চন্দ্রযান উড়িয়ে দেবীর আগমনকে প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও শ্রীহরিকোটার সঙ্গে যুক্ত বাঙালি বিজ্ঞানী ইনশা সিরাজের বাবাকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন করা হয়। তাদের এই উদ্যোগে আশেপাশের প্রত্যেককে স্বাভাবিকভাবেই অনেক খুশি।
এবার চন্দ্রজান তিনকেই থিম হিসেবে রেখে তারা পুজোর ময়দানে নামলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান, আলগা স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়া নয় বিজ্ঞানকে সম্মান জানাতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চন্দ্রযান তিনের সাফল্যকে সম্মান দিতেই এই ভাবনা চিন্তা। তাদের মত অনুসারে চন্দ্রযান- ৩ যেমন দেশবাসীর কাছে আনন্দের বিষয় তেমনভাবেই দুর্গা পুজোও সবার আনন্দ। পুজো আর মাত্র কটা দিন মেতে উঠেছে বাঙালি। ক্লাব কর্তাদেরও এখন দম ফেলার সময় নেই। অনেক কাজ বাকি। বড় মাপের পুজো গুলোর প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। মাঝারি এবং ছোটরা শুরু করেছে নিজেদের কাজকর্ম। সব মিলিয়ে মায়ের আগমন নিয়ে আবেগে ভাসছে বাংলা।