‘রাখে হরি মারে কে’- কার নজর পড়ল ‘নন্দিনী দিদি’র দোকানের উপর, বন্ধ হচ্ছে এই ভাতের হোটেল!
মমতা গাঙ্গুলী ওরফে নন্দিনী আজ বেশ জনপ্রিয়। তিনি ভাইরাল হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমেই। তাই আজ যখন তার কষ্ট তখনও তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেই সেই কথা শেয়ার করেছেন। তবে বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।

শুভঙ্কর, কলকাতা: নন্দিনী দিদি আজকাল আবার বেশ ভাইরাল। ডালহৌসির অফিস পাড়ায় তার ভাতের হোটেল। মাঝে মাঝেই তাকে শিরোনামের শীর্ষে দেখা যায়। সেটা কখনও দেখা যায় তার খারাপ ব্যবহারে আবার কখনও দেখা যায় মন মুগ্ধকর দৃশ্যেও। তবে কোনও দিনই তাঁর মুখ থেকে হাসি সরতে দেখেননি কেউ। কিন্তু এবার সেই দিদির চোখেই জল। তিনি জানান, আর খুব বেশি দিন হয়তো নেই তাঁর এই ভাতের হোটেলের। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দিদিকে বলতে শোনা গেছে, ‘ তোরা হয়তো আমাকে এখানে আর দুদিন পরে নাও দেখতে পারিস।’ কেন তিনি এ কথা বললেন? তাহলে কি তিনি দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন। নাকি কোন ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা খাচ্ছে তার সতীর্থ বন্ধুদের মনে।
মমতা গাঙ্গুলী ওরফে নন্দিনী আজ বেশ জনপ্রিয়। তিনি ভাইরাল হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমেই। তাই আজ যখন তার কষ্ট তখনও তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেই সেই কথা শেয়ার করেছেন। তবে বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘ আমি সবকিছুই বলবো। কারণ আজ এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমি এত জনপ্রিয় হয়েছি। এই সোশ্যাল মিডিয়ার জন্যই আমার দোকানে ৫ থেকে ৫০ জন গ্ৰাহক হয়েছে।এখন ১০০ থেকে ১৫০ জন লোকও আসে। আসলে মানুষ যখন কোনও ভালো কিছু করে তখন সকলে চায় তাকে টেনে নিচে নামাতে। কিন্তু কপালে না থাকলে কেউ কি মারতে পারে? কথাতেই আছে রাখে হরি মারে কে। এই প্রবাদটি আজ আমার সাথে মিলে গেছে।’ এমন মন্তব্য দেখে তার সকল স্বতৃত্তদের মনেই প্রশ্ন জাগরণ হয়েছে।
তবে একটা কথা বলতেই হবে তিনি অনেকের কাছেই এক অনুপ্রেরণা। তিনি অনেককে শিখিয়েছেন জীবনের অনুকূল পরিস্থিতিতেও অটল থেকে কিভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা যায়। জি বাংলার জনপ্রিয় শো দিদি নাম্বার ওয়ান মঞ্চে গিয়েছিলেন তখনও তিনি তার জীবনের গল্প শোনান। এখন দেখার এটাই যে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি তিনি কিভাবে কাটিয়ে ওঠেন।