রবি ঠাকুরের কবিতা ‘হঠাৎ দেখা’ র উপস্থাপনা ছুঁয়ে গেলো মন
আবহ, গান ও ভাষ্যের নিখুঁত ব্যবহারে মাত্র মিনিট ৪০-এর এই উপস্থাপনা দারুনভাবে মন ছুঁয়ে ফেলে দর্শকদের

শুভঙ্কর, কলকাতা: কেউ যদি নাম নেয় সাহিত্যের, বাঙালি সাহিত্য প্রেমীরা নাম বোঝে সেই ব্যক্তির যার অবদান বাংলার সাহিত্য জগতে চরম। সেই ব্যক্তি যে আজও বাঙালি সাহিত্য প্রেমীদের অন্তরে বাস করে। তিনি আর কেউ নন, তিনি সাহিত্য জগতের নক্ষত্র ও সাহিত্য প্রেমীদের নয়নের মণি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজও তাঁর কবিতা, উপন্যাস ও নাটকের মাধ্যমে তিনি বেঁচে আছেন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ইতিমধ্যেই শহর থেকে মফস্বল সব জায়গায় জনপ্রিয়। বিভিন্ন নাট্য কোম্পানিরা দর্শকদের নজর কাড়তে ও মন জয় করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটককে তুলে ধরে। তারই মধ্যে একটি হচ্ছে শহর কলকাতার মৃচ্ছকটিক। এই নাট্যদল গত ২৫ বছর ধরে নাট্যচর্চা করে চলেছে। দম্পতি সুপর্ণা ও শুভাশিস ব্যানার্জি নাটক প্রযোজনা করেন। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষণও দেন। তাঁদের নাট্যদল মৃচ্ছকটিকের ২৫ বছর পুর্তিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ‘হঠাৎ দেখা’কে নাটক রূপে তুলে ধরেন অভিনবভাবে।
উল্লেখ্য, কবিগুরুর প্রেমের কবিতা ‘হঠাৎ দেখা’-য় নায়ক-নায়িকার মিলন হয় না বা হবেও না কোনও দিন। মানুষের জীবনে নিত্য ঘটে যাওয়া এই সত্য ও সাধরণ গল্পের প্রতিচ্ছবি এই কবিতা। তারই মধ্যে কবির প্রিয়জনকে হারানোর এক কষ্টদায়ক উপলব্ধি উঠে এসেছে, ‘রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে।’ এই লাইনটির মাধ্যমে নাট্যকার তাঁর নাটকে সাজিয়ে তুলেছেন এক অভিনব ও রঙিন পদ্ধতিতে। এই নাটকে প্রাচীন-নতুনের মেলবন্ধন শুরু ও শেষে টাইটেল কার্ডের সঙ্গে কম খরচে এবং, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, রঙিন মঞ্চসজ্জায় ফুটে উঠেছে বাংলার গ্রাম-হাট-মাঠ থেকে পালকি। আবহ, গান ও ভাষ্যের নিখুঁত ব্যবহারে মাত্র মিনিট ৪০-এর এই উপস্থাপনা দারুনভাবে মন ছুঁয়ে ফেলে দর্শকদের।