নজর কাড়লো হাওড়ার মহিলা প্রতিমা শিল্পী নমিতা সর
সংসার সামলানোর পাশাপাশি নিজের ব্যবসা সামলাচ্ছেন নমিতাদেবী

শুভঙ্কর হাওড়া: খটখটাচ্ছে দরজা! দোরগোড়ায় বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় এবং বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজো। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। শুধু প্যান্ডেল তৈরীই নয়, ব্যবসায়ীরা শপিং মল থেকে হাটে-ঘাটে নতুন পোশাক বিক্রি করতে নেমে পড়েছে। এমনকি দুর্গা পূজার শুরুর আগেই এক আলাদা রকমের উন্মাদনা প্রতি বছরের মত এ বছরেও দেখা যাচ্ছে পুজো প্রেমীদের মধ্যে। তবে দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসটি কি? একেবারেই ঠিক ধরেছেন চিরকালের মত দুর্গাপুজোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও মুগ্ধ করার মতো দুর্গার প্রতিমা। তার সাথে প্যান্ডেলের থিম ও লাইটের ডেকোরেশন তো আছেই। কিন্তু এসবের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি করা। প্রতিমার চোখ-মুখ থেকে শুরু করে হাত-পা সবকিছুতেই শিল্পী ছোঁয়া থাকতে হয় নিখুঁত।
প্রতিবছরই দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরীর কাজে খবরের কাগজ থেকে শুরু করে টিভির পর্দায় উঠে আসে একজন পুরুষ শিল্পীর নাম। কিন্তু এখন যুগ পাল্টেছে। এখন নারী জাতীও কোন অংশে পিছিয়ে নেই। এমনকি এই প্রতিমা তৈরীর কাজেও আজকের দিনে বহু নারীকে হাত লাগাতে দেখা যায়। চলুন, আপনাদের কাছে আজ তুলে ধরি এক মহিলা শিল্পীর প্রতিমা তৈরীর কথা।
নাম নমিতা সর। হাওড়া জেলার পটুয়া পাড়ার বাসিন্দা। তার বয়স যখন দশ কি বারো তখন থেকেই বাবা, কাকার সাথে প্রতিমা তৈরীর কাজে হাত লাগান তিনি। বিয়ের পর সংসার সামলানোর পাশাপাশিও নিজের ব্যবসার সামলাচ্ছেন নমিতাদেবী। গত ২২ বছর ধরেই এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জানা গিয়েছে তার শিল্পালয় গত বছর এসেছিল ১৪টি প্রতিমার অর্ডার আর এই বছর এসেছে ১৫টি। তিনি জানান, “এই মুহূর্তে কারিগর নিয়ে সবকিছু সামলাচ্ছি। প্রতিমা তৈরি করা ও সংসার দুটোই নিজেকে সামলাতে হয়। সারা বছর লক্ষ্মী, সরস্বতী, কালী নানা দেব-দেবী নিজের হাতে তৈরি করি আমি। গত বছরের তুলনায় এই বছর কাজের চাপ একটু বেশি।”