দুর্গাপুজো উপলক্ষে অভিনব পদ্ধতিতে সেজে উঠল হাওড়া শহর
পুজো উপলক্ষে আলপনায় সেজে উঠলো বিখ্যাত হাওড়া ব্রিজ। জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগ নিয়েছে টাটা-মালিকানাধীন ক্রোমা।

শুভঙ্কর, কলকাতা: যখনই ওঠে পুজোর কথা, সবার আগে যেটা মাথায় আসে সেটা হল সাজানো গোছানো কলকাতা শহর। যেখানে চারিদিকে শুধু থাকবে আলো, চারপাশে মানুষের ভিড় বিভিন্ন থিমের প্যান্ডেল। তবে সত্যি বলতে গেলে পুজোয় দেবী দুর্গার প্রতিমার চেয়েও যেটা বেশি সকলকে আকর্ষিত করে সেটি হল প্যান্ডেলের থিম বা কোথায় কিভাবে সাজানো হয়েছে। সচরাচর হাওড়ায় এমন দেখা যায়না, তবে এই বছর এক অভিনব পদ্ধতিতে সাজানো হলো হাওড়াকে।
কি সেই পদ্ধতি? পুজো উপলক্ষে আলপনায় সেজে উঠলো বিখ্যাত হাওড়া ব্রিজ। জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগ নিয়েছে টাটা-মালিকানাধীন ক্রোমা। তাদের সহযোগিতা করেছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্ট। এই আলপনা সাজানোয়ে হাত লাগিয়েছেন শহরের বিশিষ্ট শিল্পী সঞ্জয় পাল, অন্বেষক দাঁ সহ ৮০ জন। এছাড়াও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে সরকারি আর্ট কলেজের শিল্পীরা।
এই বিষয়ে ক্রোমার চিফ অপারেটিং অফিসার শিবাশিস রায় জানান, “হাওড়া ব্রিজও প্রযুক্তির এক বিস্ময়। ২০১৯ সালে শহর পেয়েছিল ক্রোমা, তারপর থেকে গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে পা মিলিয়েছি। বাধ্য হয়ে শহরে আরো ১৪টি স্টোর গড়ে তুলতে হয়েছে। এই সমর্থন পাওয়া গেছে বলেই হাওড়া ব্রিজের বুকে গ্যাজেট জয়যাত্রার আলপনা আঁকা সম্ভব হয়েছে।”
উল্লেখ্য, কলকাতা সহ সমস্ত জেলার বড় পুজোগুলি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নানা নির্দেশিকা জারিও করেছেন তিনি। নেতৃত্বদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের খেয়াল রাখার। এছাড়াও পূজো উপলক্ষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। যার নাম ‘অভিষেকের দুত’। এছাড়াও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়েছেন প্যান্ডেলগুলিতে প্রস্তুতি কেমন তা দেখার জন্য। পাশাপাশি তিনি কলকাতা শহরের ট্রাফিকের অবস্থাও ঘুরে দেখেছেন। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সব জেলা। এবার দেখার বিষয়, সেরা পূজোর পুরস্কার এই বছর কার ঝুলিতে আসে? কার কপালে জোটে এই পুরস্কার?