তৃণমূল এক্সপ্রেস ট্রেন করে রওনা রাজধানী দিল্লিতে
তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির জন্য ২২ বগির একটি বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

শুভঙ্কর, কলকাতা: এ বছর একুশে জুলাই শহীদ স্মরণের মঞ্চে অভিষেক দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দেয়। আর সেই মতো আগামী ২-৩ তারিখে রয়েছে দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি। আর তৃণমূলের কর্মসূচি মানেই হাজার হাজার সমর্থকদের ভিড়। তবে জানা গেছে এই কর্মসূচিতে এখনো পর্যন্ত তিন হাজার মানুষ যোগ দেবেন। তবে সমর্থকদের যাওয়ার জন্য এবার বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। কালকেই হাওড়া থেকে রওনা দেবে তৃণমূল এক্সপ্রেস রাজধানী দিল্লির উদ্দেশ্যে।
এই কর্মসূচিতে প্রশাসনিক অনুমতি সেইভাবে না পাওয়ায় কর্মসূচির পরিধিতে কিছু কিছু রদবদল করা হয়েছে। তবে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারন তিনি বিদেশ সফরের পরেই পায়ে চোট পেয়েছেন। কিন্তু পায়ে চোর থাকলেও তিনি সব রকম ভাবে উদ্যোগে রয়েছেন এই কর্মসূচিকে ঘিরে। এমনকি তৃণমূলের এই কর্মসূচি যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কারণ অব্দি পৌঁছয় সেজন্য কোন খামতি রাখতে চাইছে না তারা। এখনো পর্যন্ত দিল্লিতে সড়ক পথের মাধ্যমে ৫০ লাখ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিগুলি দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের মন্ত্রকে। তৃণমূলের অভিযোগ ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। সেই টাকা যাতে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় তার জন্যই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন।
তৃণমূলের এই কর্মসূচির জন্য ১ অক্টোবরের মধ্যে দিল্লিতে পৌঁছতে বলা হয়েছে দলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের। কিন্তু তার আগে তৃণমূলের বিভিন্ন সমর্থকরা যাতে ঠিকঠাকভাবে দিল্লিতে পৌঁছতে পারে সেই জন্য তৃণমূলের তরফ থেকে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এই বিশেষ ট্রেনের আয়োজন করেন। এই বিষয়ে আজ শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ জব কার্ড হোল্ডারদের জন্য ২২ বগির একটি বিশেষ ট্রেন ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তারা যাতে ঠিকঠাক ভাবে বাড়িও ফিরে আসতে পারে সেই বন্দোবস্তও করেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।” যেহেতু একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাই শাসকদের তরফ থেকে এই ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘তৃণমূল এক্সপ্রেস।’ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যেই দূরদূরান্ত থেকে জব কার্ড হোল্ডাররা কলকাতায় চলে এসেছেন। তাদের থাকার জন্য ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র এবং নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এখান থেকেই তারা হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠবে। যারা কলকাতার আশেপাশে থাকেন তারা সরাসরি হাওড়ায় গিয়ে ট্রেনে উঠবেন। যাতে সবাই ঠিকঠাক ভাবে ট্রেনে উঠতে পারে সেই জন্য এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়কে।