চরম সঙ্কটে ইলিশ! চাপে ক্রেতা-বিক্রেতা দুজনেই
খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে খোকা ইলিশ

শুভঙ্কর, কলকাতা: কথায় আছে মাছের রাজা ইলিশ। আর সেই ইলিশ মাছই এখন চরম সঙ্কটে। চলে গেছে ক্রাইসিস পয়েন্টে। তাহলে কি এবার ইলিশের স্বাদ জুটবেনা বাঙালির কপালে? সামনেই পুজো। আর পুজোর সাথেই চলে পেটপুজোও। বাঙালি এমনিই খাদ্যরসিক জাত। যেকোনো অনুষ্ঠানেই পেটপুজো ম্যান্ডেটরি। আর তার মধ্যেই ইলিশ মাছ নিয়ে বড়ো ধাক্কা খেলো বাঙালি। এই ধাক্কা শুধু খাদ্যপ্রেমীদেরই নয়, এই ধাক্কা মাছ ব্যবসায়ী বা মাছ বিক্রেতাদেরও। মনের কোণায় চলছে নানা প্রশ্ন। এই চলতে থাকলে কি হবে আগামীদিনে? এবারের পুজোয় জুটবে তো আমাদের কপালে ইলিশ? প্রতিদিনের চাপের পাশে এখন এই চাপেও বাঙালি। ক্রেতা হোক কি বিক্রেতা দুজনেরই কপালে পড়েছে হাত। কেন এই অবস্থা? কি এমন ঘটলো?
বাঙালির যেকোনো উৎসবে ইলিশের উপস্থিতির মানই আলাদা। আর কিছু হোক না হোক, ভাতের পাতে ইলিশ থাকা মাস্ট। গরম ভাত আর ইলিশ মাছের ভাজা! আহা ব্যাপারটাই আলাদা। বাজারে ইলিশের চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি, হাওড়া এবং কলকাতার খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে খোকা ইলিশ। আর যে হারে খোকা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে তাতে ক্রেতা শ্রেণীর একাংশ অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। মৎস্য বিশেষজ্ঞ এবং ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন করছে যে যেই গতিতে এই খোকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে, তাতে পরে ইলিশ পাওয়া যাবে তো? তাঁরা মনে করছেন দ্রুত এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, “আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি যারা বেআইনিভাবে ছোট মাছ ধরছে তাদের যেন গ্রেফতার করা হয়। এই জিনিসটা লোকের নজরে আসলে, পুলিশ প্রশাসন যেনো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরাও চাই এই জিনিসটা বন্ধ হোক। এই ব্যাপারে মৎস্যজীবী এবং সাধারণ ক্রেতাদের সচেতন করতে প্রচার চালানো হবে।” মানুষ অসন্তুষ্ট। এবার দেখার বিষয় প্রশাসন কি পারবে এটা রুখতে? আরও দেখার বিষয় কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনের তরফ থেকে।