নিজেদের ফিট রাখতে বাঙালি ভিড় জমাচ্ছে জিমে
পুজোর জন্য সাজো সাজো রব বাঙ্গালীদের। আর এই কারণেই শপিংমল থেকে শুরু করে জিমে ভিড় জমাচ্ছে বাঙালি।

শুভঙ্কর, বসিরহাট: দুর্গাপুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। মেরে কেটে আর কয়েকটা দিনই হাতে বাকি। ইতিমধ্যে শপিংমল থেকে শুরু করে জিমে সব জায়গাতেই ভিড় চোখে পড়ার মতো। বাঙালি যেমন নিজেকে সাজাতে তৈরি তেমনি নিজের শরীর ফিট রাখতেও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কারণ পুজোর সময় খাদ্য প্রিয় বাঙালি, ঠাকুর দেখার সাথে সাথে পেট পুজো বেশ জমিয়ে করেন। সেই সময় শরীরের অযত্ন হয় অনেক। কিন্তু শরীর ফিট না থাকলে ঠাকুর ঘর আর কি মজা আছে? তার শরীরকে ফিট রাখতে এখন থেকেই বাঙালি শুরু করেছে জিমে যাওয়া। জিমে সচরাচর সকালবেলা এবং সন্ধ্যাবেলাতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু পুজো যত সামনে আসছে তত সকাল সন্ধ্যা ছাড়াও দুপুরেও ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে এখন জিমে কম বয়সিদেরই দেখা যাচ্ছে।
শরীর ফিট থাকলে সবকিছুই ফিট থাকে। সে সাজগোজ করে হোক বা ঘোরা বা খাওয়া-দাওয়া। নিজেকে ফিট রাখতে জিমের গুরুত্ব অপরিসীম। নিজেদের মতো করে ফির থাকার থেকে বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শদের মতে ফিট থাকলে সেটাতেই বেশি কার্যকরী হয়। না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এবার শহরের পাশাপাশি গ্রামের পুজো গুলোতেও রীতিমত টক্কর দিচ্ছে। শুধু পুজোয় নয় মানুষও নিজেদের মধ্যে টক্কর দিতে শুরু করেছে। তাই এবার শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষদেরও ফিট হতে জিমে যেতে দেখা যাচ্ছে।
পুজোর জন্য উপচে পড়া ভিড় দেখা গেল অন্যান্য জিমের মতো বসিরহাটের ভেবিয়ার ‘ফিটনেস জিমে’ও। এই জিমের কর্ণধার ঋতম মন্ডল। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ পুজোর আগে সব কম বয়সেরাই নিজেদের মেদ ঝরিয়ে ফিট হতে চাইছে। তাই অনেকেই পুজোর আগে জিমে ভর্তিও হচ্ছে। কিন্তু যারা পুজোর আগে জিমে ভর্তি হচ্ছে তাদেরকে আমি পরিষ্কার বলে দিই শুধুমাত্র কয়েকটা দিন জিমে আসলেই ফিট হওয়া যায় না। ফির থাকতে সারা বছরই শরীর চর্চা করতে হয়।”