এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে উধাও মৃত বন্দির দেহ
পরিবারের অভিযোগ, এই সবকিছু পরিকল্পনার সাথেই করা হয়েছে।

কলকাতা: আমাদের আশেপাশে ঘটে বহু রকমের ঘটনা। কিন্তু কিছু ঘটনা এমন হয় যা মানুষের মনে প্রশ্ন তো নিশ্চই জাগায়, কিন্তু থাকেনা কোনো উত্তর। এমনও হয়, এই একটা ঘটনা অপ্রস্তুত করার পাশাপাশি পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেও তোলে। এবার এমনই এক আশ্চর্যকর ঘটনার সাক্ষী হলো এসএসকেএম হাসপাতাল। কিন্তু শুনতে আশ্চর্যকর হলেও, যাঁর সাথে ঘটনাটি ঘটলো, নিয়ে গেলো তাঁর সবকিছু। একেবারে হেনস্থা বলতে যা বোঝায়, ঠিক সেটাই হলো। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এটাও প্রশ্ন যে এটা আদৌ সবার অজান্তে হয়েছে নাকি ছক কোষে এই ঘটনা ঘটানো?
ঘটনাটি কি? এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গ থেকে উধাও সাজাপ্রাপ্ত বন্দির দেহ। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বাবলু পোল্লে। তিনি হাওড়ার আমতার বাসিন্দা। যদিও তার পরিবারের অভিযোগ, দেহ লোপাট করা হয়েছে। এই অভিযোগকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বাড়িওয়ালাকে খুন করার জন্য গত ১১ বছর ধরে জেলবন্দি ছিলেন বাবলু।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ষষ্ঠীর দিন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। সপ্তমীর দিন তাঁর পরিবারকে এই খবর জানানো হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে আসতে বলা হয় নবমীর দিন। হেস্টিংস থানার পুলিশ ভিডিওগ্রাফারের সঙ্গে মর্গে পৌঁছাতেই দেখে লাশ উধাও। হেস্টিংস থানার পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয় এবং তার এলাকার থানায়ও জানানো হয়।
এই ঘটনা সম্বন্ধে মৃত বন্দির স্ত্রী জানান, “একবার বলছে আমার স্বামী জেলে ছিল। আবার পরে বলছে থানা থেকে নিয়ে আসার পথে মারা গেছে। পুলিশকে দেখলাম কি নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। এটা পুরোপুরি পরিকল্পিত। পুলিশ আমাদের হেনস্থা করছে, পাত্তা দিচ্ছে না। ওরা বলছে ওরা আমাদের বডি দিতে পারবে না।”
অন্যদিকে মৃত বন্দির ভাগ্নির বক্তব্য, “শনাক্ত করানোর জন্য বেশ কিছু দেহ আমাদের দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে একটাও বডি ছিলোনা যেটা মামার। আমরা সন্দেহ করছি এটা পুরো পরিকল্পনার সাথেই করা হয়েছে। একজন অফিসার আসেন এবং বলেন দেহ দিতে পারা সম্ভব নয়। দেহ অন্য কেউ দাহ করে ফেলেছে।”