রক্ষক হলো ভক্ষক! চিকিৎসকের অমানবিক আচরণ বাঁকুড়া জেলায়

কুড়ি হাজার টাকা না দিতে পারায় থামিয়ে দেওয়া হলো রোগীর অপারেশন।

শুভঙ্কর,বাঁকুড়া: ছোটবেলা থেকে ‘ডাক্তার’ শব্দটা শুনলেই প্রথম আমাদের যে কথাটা মাথায় আসে, সেটা হলো দেবতার আরেক রূপ। মানুষের জীবন রক্ষার দায়িত্ব এই ডাক্তারদেরই। কিন্তু এবার রক্ষকই হলো ভক্ষক। এবার চিকিৎসকের থেকেই পাওয়া গেলো অমানবিক আচরণ। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় এখন আর ডাক্তাররা দেবতার আরেক রূপ নয়, সবাই এখন পয়সা লোভী মানুষ। অর্থ না থাকলে ব্যর্থ এই ভেবেই এখন ডাক্তাররা চিকিৎসা করতে এগোয়। কি এমন ঘটলো? জানতে চান? তাহলে চলুন নিয়ে চলে যাই আপনাদেরকে মূল পর্বে।

এই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের এই জেলার কাটজুড়িডাঙা গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ডের পাশেই রয়েছে এক বেসরকারি হাসপাতাল, যেখানে এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, রঘুনাথপুর থানার ফুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন অটোচালক শেখ আলমগীরের পেটে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। ওই অবস্থায় তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে তার ল্যাপ্র্যোস্কপি শুরু করা হয়। সেই সময় অভিযুক্ত ডাক্তার নিমাই মুরমু সেই অটোচালকের স্ত্রী শামীমা বিবিকে ডেকে পাঠান এবং ২০ হাজার টাকা দাবি করেন অপারেশন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। শামীমা বিবির বক্তব্য, টাকা দিতে না পারায় মাঝপথে অপারেশন বন্ধ করে রোগীকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

WB,Bankura,Hospital,Doctor

এরপর শেখ আলমগীরের দাদা শেখ জাহাঙ্গীর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্যায় ভাবে সেই চিকিৎসক তাদের থেকে আলাদা করে ২০ হাজার টাকা চান। এই খবর পৌঁছায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এবং ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও রোগীর পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাঁকুড়ার সদর থানার ওসি দেবাশিস পাণ্ডে এবং ধিক্কার জানান সেই ডাক্তারের এই আচরণকেও।




Leave a Reply

Back to top button