পুরনো জিনিসপত্র দিয়ে বানানো নতুন জিনিস জিরো মিউজিয়ামে
হাস্টক্রাফট এবং কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নামক দুটি এনজিওর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এটি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

শুভঙ্কর, কলকাতা: প্রতিবছরই কিছু না কিছু নতুন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় রাজ্য সরকারকে। এবারও হল তাই। নিতে দেখা গেল এক অভিনব উদ্যোগ। এখানে এনকেডিএ, অর্থাৎ নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে নিউটাউনে অবস্থিত ‘জিরো মিউজিয়াম’এর কথা বলা হচ্ছে। এটি আসলে একটি ‘জিরো ওয়েস্ট শপ’। বলে রাখা ভালো, হাস্টক্রাফট এবং কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নামক দুটি এনজিওর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এটি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।
নিউটাউনের এই অভিনব দোকানটি আসলে কি? এটি একটি দোকান যেখানে পুরোনো জিনিসপত্র রিসাইকেল করে বানানো হয় নতুন জিনিস। এই দোকানে কাজ করেন ৩২টি গোষ্ঠীর মোট ৪০০ জন মহিলা। মূলত প্লাস্টিকের বোতল, পুরনো টায়ার, পুরনো খবরের কাগজ, জামাকাপড়, ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বা অভিনব কিছু জিনিস। জানা গিয়েছে, যেসব নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি তৈরি করা হয় এই ফেলে দেওয়া পুরনো জিনিস থেকে সেগুলি হলো ঘর সাজানোর ফুলদানি, ল্যাম্পশেড, কফি মাগ, পার্স, জামাকাপড়, পর্দা, বিছানার চাদর, ইত্যাদি। এমনকি এগুলি দিয়ে বানানো হয় বিভিন্ন শোপিস, ছাতা, ইত্যাদি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার এখানে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি রাখীও পাওয়া যায়।
এই তথ্যও উঠে এসেছে যে, এক বছরের মধ্যে (জুন ২০২১ থেকে জুন ২০২২) আড়াই লক্ষ টাকা রোজগার করেছিল এই দোকান এবং দিন দিন তা আরও বাড়ছে। মূলত এই দোকানের আসল উদ্দেশ্য হলো দুটি। প্রথমত, মানুষের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা এবং দ্বিতীয়ত, শহরকে আবর্জনা এবং রোগ মুক্ত করা। নিউটাউনের বুকে এই দোকান ইতিমধ্যেই অর্জন করেছে জনপ্রিয়তা। ইতিমধ্যেই এই দোকানের জিনিসপত্র নজর কেড়েছে বহু লোকের। এবার দেখার বিষয় রাজ্য সরকার যে কারণে এই উদ্যোগটি নিয়েছে, তাতে তারা সফল হয় কিনা।