অবশেষে সুযোগ হয়েছে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করার
তৃণমূলের রাজভবন চলো ধরনা কর্মসূচি আজ পঞ্চম দিনে পা দিয়েছে। এই পঞ্চম দিনেই তারা সুযোগ পেয়েছে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার।

শুভঙ্কর, কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ মাসেই শুরুতেই দিল্লি চলো অভিযান কর্মসূচি করেছিলেন। সেই কর্মসূচির শেষ দিনে কৃষিভবনের সামনে যখন অভিষেকসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ধর্না কর্মসূচিতে বসেন তখন ঘটে এক অমানবিক ঘটনা। ধরনা কর্মসূচিতে হঠাৎই পুলিশবাহিনী এসে তৃণমূলের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেনে হিচড়ে বাইরে বের করে। শুধু বাইরেই বের করেনি তাদেরকে আটকও করে রেখেছিলেন। তারপর সেখান থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘রাজভবনে চলো’ কর্মসূচি ডাক দেয়।
কলকাতায় ফিরে এসেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে ধর্ণা কর্মসূচিতে বসেন। সেখানেও তাদের দাবি ছিল ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সম্পর্কে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করা। কিন্তু ৫ তারিখে রাজ্যপাল রাজভবনে না থাকায় তাদের আলোচনা স্থগিত ছিল। আজ রাজ্যপাল বিকেল চারটে নাগাদ তাদের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন। রাজভবনে ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সময়ের ১৫ মিনিট আগেই পৌঁছে যান রাজভবনে। তবে অভিষেকের ইচ্ছা ছিল এই বৈঠকটা ক্যামেরার সামনেই হোক। কিন্তু এখন সাংবাদিকদের এমন কি? যারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবে তাদেরও মোবাইল ফোন নিয়ে ভেতরে ঢুকতে বারণ করা হয়েছে। আর সেই কারণেই ক্যামেরার আড়ালেই বৈঠকটি সারা হয়। বৈঠকটি চলে ২০ মিনিট ধরে।
রাজভবনে বৈঠকে যাওয়ার সময় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের হাতে ২০০ থেকে ৫০০টি করে চিঠি ছিল। যা তুলে দেওয়া হবে রাজ্যপালের কাছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মাত্র দুটি প্রশ্নই করবেন। প্রথম প্রশ্ন করবেন এই ২০ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করছেন কিনা। দ্বিতীয় প্রশ্ন করবেন যদি কাজ করেই থাকেন তারা, তাহলে টাকা পাচ্ছেন না কেন? আসলে এই প্রশ্নগুলি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে খবরটি পৌঁছে দিতে চান বলেই জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে চলা এই ধর্ণা কর্মসূচি অবশেষে আজ বৈঠকের পর তুলে নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে। বউ ত্বক শেষে বেরিয়ে এসে সৌগত রায় জানান, “ আমাদের বৈঠক ভালই হয়েছে। আমরা একটা স্মারকলিপি ও চিঠি দিয়ে এসেছি।”