কালারফুল ও কেয়ারফুল দুই ভাবেই থাকার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এই পরামর্শ দিলেন শুধু শাসকদলের কালারফুল বয়কেই নয়, দেওয়া হয় সমস্ত নেতৃত্বদেরও।

শুভঙ্কর,কলকাতা: প্রতিবারের দুর্গাপুজোর মত এবারেও বিশেষ বার্তা এল মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। তবে এটিকে বার্তা বলা যায় না, বলা যায় মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে অপ্রত্যাশিত কিছু কথা। বরাবরই কালারফুল বয় হিসেবে পরিচিত তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র একটি কথা বলে থাকেন “ওহ লাভলি”। এবার সেই “ওহ লাভলি” শোনা গেলো স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে। বৃহস্পতিবার, নিজের বাড়ি থেকেই ভার্চুয়ালি কলকাতা সহ বহু জেলার পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই মধ্যে ছিলো মদন মিত্রের পুজো। অর্থাৎ ভবানীপুর ও কামারহাটি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে মদন মিত্র সহ তৃণমূল নেতৃত্বদের দুর্গাপুজোকে ঘিরে পরামর্শ দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ওর যা ইচ্ছে ও তাই বলুক। ও তো লাভলি বলবেই। লাভলিটা তো এখন একটা ব্র্যান্ড হয়ে গেছে।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কামারহাটির বিধায়ককে পুজো ঘিরে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “পুজো মাত্র কটা দিন। তাই আনন্দে থাকবে। কালারফুল ও কেয়ারফুল দুই ভাবেই থাকবে। দমদম হোক কি কামারহাটি সবাইকেই দেখে রাখবে।” তবে এই পরামর্শ শুধু শাসকদলের কালারফুল বয়কেই নয়, দেওয়া হয় সমস্ত নেতৃত্বদেরও।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাংলায় সৃষ্টি হয় ইতিহাস। এর আগে রাজ্যের কোনো মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়নি। এই প্রথমবার সেটাই হলো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তাঁর নিজের গড় কলকাতা সহ সমস্ত জেলার পুজো। প্রায় ৮০০টির বেশি পুজো উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন তিনি শুধু তৃণমূল নেতৃত্বদেরই পরামর্শ দেন না। তিনি রাজ্যবাসীদেরও বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আগে যা অবস্থা ছিল, তার তুলনায় আমার শরীর অনেকটাই ভালো আছে। তবে পায়ের সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। তাই বেশি হাঁটাহাঁটি করছি না। অতিরিক্ত হাটাহাটি করলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই সশরীরে গিয়ে উদ্বোধন করতে পারিনি পুজো। কিন্তু মনের দিক দিয়ে আমি গোটা বাংলার কাছে পৌঁছে গেছি। আমি চাই পুজোর সকলের ভালো কাটুক। সকলকে শুভনন্দন।”