মুখ্যমন্ত্রীর জেলে যাওয়ার দাবি তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো সাথী গ্রেফতার হতেই আক্রমণ শুভেন্দুর।

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন হয়েছে জেলে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন বান্ধবী অর্পিতা সহ উচ্চস্তরের কর্তারা।এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বর্তমান বনমন্ত্রী ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দীর্ঘ ১০ বছর খাদ্য দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন তৃণমূলের প্রথম সারির এই নেতা। তার সময় হওয়া দুর্নীতিরই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় ‘বালু’ গ্রেফতার হতেই সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার। তিনি তিনি মন্তব্য করেছেন শিক্ষা ও খাদ্যমন্ত্রী জেলে। এবার রাজ্যের বাসিন্দারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জেলে দেখতে চান। ঘটনাচক্রে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, “ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অনেকগুলি ফোন ব্যবহার করতেন। তার মধ্যে তিনি তার নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত সরকারি পুলিশকর্মী ও মনীশের ফোন ব্যবহার করেছেন। যদি এই দুটো ফোন দেখা হয় তাহলে বোঝা যাবে তিনি দিনে কতবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে আমি অনুরোধ করব তা দেখার জন্য। এই দুর্নীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলের বেশিরভাগ টাকাই হচ্ছে এই চাল গম আটা থেকে মারা টাকা। এত জঘন্য কাজ এর আগে ভারতবর্ষে কেউ করেনি। আমাদের রাজ্যের ৬কোটি লোক রেশনের ওপর নির্ভর। এই লোকগুলোকে পচা চাল গম দিয়েছে এই সরকার। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা ঢুকিয়েছে সেখানে।” এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ মানুষের তিনটি প্রাথমিক প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য। রাজ্যের শিক্ষা ও খাদ্যমন্ত্রী দুর্নীতির জন্য জেলে গিয়েছে। এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জেলে দেখতে চান রাজ্যের বাসিন্দারা।”
অন্যদিকে একই সুরে সুর মেলাতে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন দুর্নীতির টাকা তৃণমূল পার্টি অফিসে ঢুকেছে। বিজেপির এই সাংসদ নেতা বলেন, “ রেশন দুর্নীতির কালো টাকা তৃণমূলের পার্টি অফিসে কাজে লেগেছে।”