বিরাটকে ব্যাটিং নিয়ে ‘জ্ঞান’ দেওয়ায় ট্রোলড, পালটা উত্তর দিলেন শোয়েব মালিক
বিরাট ঝড়ের মুখে শোয়েব মালিক ব্যাটিং নিয়ে জ্ঞান দিতে গিয়ে পাল্টা ট্রলের শিকার পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক

বিরাটকে ব্যাটিং টেকনিক শেখানোয় ট্রোলড হন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। এখনও পর্যন্ত অপরাজিত টিম ইন্ডিয়া। প্রতিটি ম্যাচে সিক্সার হাকিয়ে এই মুহূর্তে টেবিল টপার ‘মেন ইন ব্লু। ছন্দে চলছে বোলিং ও ব্যাটিংয়ের নিখুঁত পরিবেশন। আর ব্যাটিং বিভাগে রোহিত শর্মাদের সবচেয়ে বড় শক্তি এই মুহূর্তে বিরাট কোহলি। বর্তমান একদিনের ক্রিকেটে ‘চেজ মাস্টার’ হিসেবে বেশি পরিচিত বিরাট। তিনি ময়দানে নামলেই ইন্ডিয়ান ক্রিকেট সমর্থকরা ধরে নেয় ম্যাচ পকেটে পুরবে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপে দারুন ফর্মে রয়েছে বিরাট। অধিকাংশ ম্যাচেই তিনি নিজের উপস্থিতি ময়দানে বোলারদের বুঝিয়েছেন। তবে এরই মাঝে বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচনা ও ট্রোলের স্বীকার হলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক শোয়েব মালিক।
‘এ স্পোর্টস’ চ্যানেলে ‘দ্যা প্যাভিলিয়ন’ বলে একটি শো’তে প্রাক্তন পাক তারকাকে ওয়াসিম আক্রম ও মিসবা উল হকের উপস্থিতিতে বলতে শোনা যায়, ‘যদি আপনি বাবর ও বিরাটের ব্যাটিং টেকনিক দেখেন অফ-স্পিনারদের বিরুদ্ধে, তাহলে দেখবেন দু’জনকেই রীতিমতো সংঘর্ষ করতে হয়েছে অফ-স্পিনারদের খেলতে। আপনি দু’জনের ফিট পজিশন দেখবেন। বিশেষ করে, যখন ডান-হাতি ব্যাটসম্যানদের সামনের পা ক্রসওয়াইজে চলে যায়, অফ-স্পিন খেলা চাপের হয়ে ওঠে। বাবরের থেকে বিরাটকে এই সমস্যার মুখে বেশি পড়তে দেখা যায়। তবে বিরাট একজন আগ্রাসী ক্রিকেটার। সে এর মাঝে বড় স্ট্রোক নিয়ে নিজের উপর থেকে চাপ কমিয়ে নেয়। বাবর যদি বিরাটের মতো একই পদ্ধতিতে খেলে, তাহলে ও আগামী দিনে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে।’
এরপরই ট্রোলের ঝড় ওঠে শোয়েবের জীবনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মালিকের এই মন্তব্যের নিন্দা করে। যদিও মালিক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘দেখুন আপনারা সবাই আমাকে ভুল বুঝছেন। এমন কোন ব্যাটার নেই যে কোন না কোন ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়েনি। সে এক লাখ রান বানিয়ে নিক না কেন। আমি বলতে চেয়েছি ক্রিকেটে এমন কোনও ব্যাটার নেই যাদের স্পিন খেলতে সমস্যা হয়না। সবারই পায়ের পজিশন নিয়ে সমস্যা হয়। অনেক বড় খেলোয়াড়ের হয়েছে। আপনারা চাইলেই জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।’ প্রসঙ্গত,বিশ্বকাপে বড় ব্যবধানে পাকিস্তান হারে টিম ইন্ডিয়ার কাছে। শুরুতে ব্যাটিং করে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।