৪৪ বছর ছোট মেয়েকে যৌন হয়রানি থেকে বি গ্রেড সিনেমায় অভিনয়! অমিতাভের কাণ্ড কারখানায় হতবাক হবেন আপনিও

অমিতাভ বচ্চন সবসময়ই আইকনিক। কয়েক দশক ধরে তার কাজের মাধ্যমে তরুণ অভিনেতাদের সবসময়ই অনুপ্রাণিত করছেন বিগ বি। বছরের পর বছর ধরে অমিতাভ ভারতীয় সিনেমা এবং টেলিভিশনে তার অপরিসীম অবদানের জন্য অনেক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিতও হয়েছেন। কিন্তু এতদিন ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নামের সাথে তার কিছু বদনামও জড়িয়েছে।
সালটা ছিল ২০১১। প্রাক্তন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড সায়ানি ভগত এবং সায়নী আহুজা অমিতাভ বচ্চন এবং সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। যে খবর পরে সমগ্র চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে চমকে দিয়েছিল। এই ঘটনার পর শীঘ্রই বিগ বি তার বিরুদ্ধে জনসমক্ষে সায়ানির গুরুতর অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরবর্তীতে জানা গিয়েছিল যে অমিতাভ বচ্চন নয় সায়নী শিকার হয়েছেন সাইবার ক্রাইমের।
উল্লেখ্য নব্বইয়ের দশকে অমিতাভ বচ্চন এবং প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা কাদের খান একসঙ্গে একাধিক হিট ছবিতে কাজ করেছিলেন। সেই সময়কাল থেকে এখনও অবধি তারা হিন্দি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম সফল অন-স্ক্রিন জুটি হিসাবে বিবেচিত হন। যদিও তাদের অন-স্ক্রিন জুটি ছাড়াও দুজন বাস্তব জীবনেও ছিলেন প্রাণের বন্ধু । কিন্তু কিছু সময় পর অমিতাভ খ্যাতি এবং সাফল্যের নতুন চূড়ায় উঠতে শুরু করেছিলেন। এই সাফল্য তাঁকে কিছুটা অহংকারির সাথে বানিয়েছিল, আত্মকেন্দ্রিকও বটে।
বিগ বি – এর এই আত্মকেন্দ্রিকতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে কাদের খানের বক্তব্যে। তিনি একটি নিউজ পোর্টালে সাক্ষাৎকারে অমিতাভের সাথে তার সুন্দর এবং সত্যিকারের বন্ধুত্বের অবসানের কারণ সহ কিছু গোপন কথা ফাঁস করেছিলেন জনসমক্ষে। তিনি জানান একসময় তিনি তাকে ভালোবেসে অমিত বলে সম্বোধন করতাম। একদিন সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটি শুটিং সেটে একজন প্রযোজক তাকে জিজ্ঞেস করলেন যে আপনি ‘স্যারজির’ সাথে দেখা করেছেন । সেই কথায় খান প্রথমে বুঝতে পারেননা স্যারজি কে। পরক্ষণে প্রযোজক আঙ্গুল দিয়ে অমিতাভের দিকে নির্দেশ করে বলেন উনিই স্যার জি। কেদার খান পাল্টা জিজ্ঞেস করে উনিইতো স্যার জি কবে থেকে হলেন ! প্রযোজক জানান আমরা আজ থেকে ওনাকে ওভাবেই সন্মোধন করব। এই সমস্ত বাক্যালাপের পর সেদিন ওই সেট থেকে কাদের খান চলে যান। এভাবেই শেষ হয় তাদের বন্ধুত্ত্ব।
এছাড়াও কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের জীবনে এমন একটা সময় এসেছিল যখন তিনি ও তাঁর পরিবার আর্থিক সঙ্কটের দিকে ক্রমশই এগোচ্ছিলেন। তখন তিনি বাধ্য হয়ে পরিচালক কাইজাদ গুস্তাদের ছবি ‘বুম’এ অভিনয় করার জন্য হ্যাঁ বলেন। কারণ তাঁর কাছে পয়সা উপার্জনের আর কোনো উপায় ছিল না। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এত বড় তারকা হওয়া সত্ত্বেও বি-গ্রেড ফিল্মে কাজ করার মত সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ ছিল তার আর্থিক টানাপোড়েন।