Bachchan Pandey Review : বড় পর্দায় ‘বচ্চন পাণ্ডে’! কি প্রতিক্রিয়া সিনে ভক্তদের

যেকোনও উৎসবকে লক্ষ্য করে ছবি মুক্তির দিন নির্দিষ্ট করেন বলিউড অভিনেতারা। দুর্গাপুজো হোক, দিপাবলী হোক অথবা হোলি কিংবা ইদ। উৎসবের দিনগুলিকে মাথায় রেখে বলিউড অভিনেতা এবং পরিচালক প্রযোজকরা বহু ছবির মুক্তির দিন ঠিক করেন। গত বছর দিপাবলীতে মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) ছবি ‘সূর্যবংশী’। করোনা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হওয়ার পর যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমশ সিনেমা হল খুলতে শুরু করেন, তখন মুক্তি পায় এই ছবি। নিঃসন্দেহে বক্স অফিসে শুধু ভালো ব্যবসাই নয়। ১০০ কোটির ক্লাবেও পৌঁছে যায় ‘সূর্যবংশী’। চলতি বছরও রঙের উৎসবে মুক্তি পেল তাঁর বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘বচ্চন পাণ্ডে’ (Bachchan Pandey)। ছবির কেমন লেগেছে, ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন নেট নাগরিকরা।
কুখ্যাত গ্যাংস্টারের জীবন নিয়ে বায়োপিক বানাতে চায় এক উঠতি পরিচালক। ওই কাজে নিজের এক বন্ধুর সাহায্য চায় সে। সেই বন্ধুটি আবার পেশায় অভিনেতা। কিন্তু, দু’ জনের কোনও ধারণা নেই যে ওই কাজটি কতটা কঠিন হতে চলেছে। ছবি নিয়ে রিসার্চ করার জন্য ভাগওয়া গ্রামে পৌঁছয় তারা। এখান থেকেই গল্প আলাদা বাঁক নেয়। বচ্চন পান্ডের (Bachchan Pandey) ছবিটি আসলে তামিল ছবি Jigarthanda -র বলিউডি ভার্সন।
ছবির (Bachchan Pandey) শুরুতেই সিলভার স্ক্রিনে ফুটে উঠবে এক গ্রামের ছবি যেখানে আইন নয়, গুন্ডারাজ চলে। প্রকাশ্য দিবালোকে যখন তখন পুলিশদের মারধর করা হয়। আর সাংবাদিকদের জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। গুন্ডারাই সেখানকার ভাগ্যবিধাতা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত বচ্চন পাণ্ডে (অক্ষয় কুমার)। মায়রা (কৃতি শ্যানন) নামের এক ফিল্মমেকার তাকে নিয়ে ছবি বানাতে চায়। আর সেই কারণেই সে ভাগওয়া গ্রামে পৌঁছয় নিজের বন্ধুর বিষ্ণুর (আরশাদ ওয়ারসি) সঙ্গে। এরপরেই এক ভয়ংকর অধ্যায়ের সূচনা হয়।
‘বচ্চন পাণ্ডে’ (Bachchan Pandey) ছবির ট্রেলার মুক্তির আগে থেকেই বহু অনুরাগী নেট দুনিয়ায় এই ছবিকে ব্লকবাস্টার হিট ঘোষণা করে দিয়েছেন। কাল মুক্তি পেল ‘বচ্চন পাণ্ডে’। বচ্চন পান্ডের (Bachchan Pandey) চিত্রনাট্য বেশ ইন্টারেস্টিং। কিন্তু, ট্রেলারেই গল্পের ৮০ শতাংশ বলে দেওয়ায় বেশ কিছুটা ফিকে হয়ে গিয়েছে ছবির স্বাদ। জাঁকজমকে ভরপুর ছবিটি (Bachchan Pandey)। উত্তর ভারতে ছবিটির শ্যুটিং হয়েছে। বচ্চন পান্ডের অবতারে অক্ষয়কে বেশ খুংখার লাগলেও, আচমকা কমেডি শুরু করেন তিনি। যেটা চরিত্রের সঙ্গে বেশ বেমানান। কথায় কথায় এই ক্যারিকেচারের বিষয়টি অনেকেরই মনে ধরেনি।
অক্ষয় কুমার যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছেন চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার। তবে তিনি চেষ্টা করেও তা পারেননি। গুজরাটি কোচ ভাবেশ ভোপলোর ভূমিকায় পঙ্কজ ত্রিপাঠি এবং বাফারিয়া চাচার ভূমিকায় সঞ্জয় মিশ্রও দুরন্ত। তাদের পাঞ্চলাইন বেশ ভালো। কিন্তু, ছবিতে এতটাই তুলকালাম চলছিল যে তাদের চরিত্র স্পটলাইটে আসতেই পারেনি।
ছবির প্রথমার্ধে গল্পের বুনোট ঠিকঠাক থাকলেও, গতি খুবই স্লথ ছিল। কিন্তু, কয়েকটি প্লট টুইস্ট কারণে ছবির শেষার্ধ আপনাকে টানবে। আরশাদ ওয়ারসিকে স্ক্রিন টাইম দেওয়া হলেও, ডার্ক কমেডি কাজে লাগানোর সুযোগ পাননি। কৃতি শ্যানন দক্ষ কায়দায় নিজের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
তবে অক্ষয় কুমারের পাশাপাশি ‘বচ্চন পাণ্ডে’ ছবির জন্য প্রশংসায় ভাসছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। এক নেট নাগরিক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘প্রশংসা যোগ্য। ‘বচ্চন পাণ্ডে’ ছবিতে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ তাঁর চরিত্র অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘অক্ষয় কুমার স্যর, আপনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।’ ‘বচ্চন পাণ্ডে’ দেখা শেষ করেই এক নেট নাগরিকের প্রতিক্রিয়া, ‘সবেমাত্র দেখা শেষ করলাম ‘বচ্চন পাণ্ডে’। প্রথমার্ধ দুর্দান্ত। দ্বিতীয়ার্ধ সাধারণ।’ প্রসঙ্গত, এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন, অক্ষয় কুমার, কৃতী শ্যানন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এবং আরশাদ ওয়ার্সি।
আরও পড়ুন মানবিক ফেডেরার, ইউক্রেনে আক্রান্ত শিশুদের জন্য দান করলেন ৫ লক্ষ
আরও পড়ুন ভাস্কর্যে জায়গা পেতে চলেছেন ভাইরাল বাদাম কাকু, কলকাতার বুকে বসবে ভুবন বাদ্যকরের মূর্তি