নাবালিকাকে জোর করে চুমু! বিয়ের সানাই বাজতেই ফাঁস মিকা সিংয়ের এমএমএস

আর মাত্র কিছুদিন। তারপরেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন গায়ক মিকা সিং। বিয়ে করছেন তিনি। সবার সামনেই এক রিয়ালিটি শো’র মাধ্যমেই সাতপাকে বাঁধা পড়বেন তিনি। মিকার গলায় মালা দিতে হাজির হবেন গোটা ভারতের প্রচুর সুন্দরীরা। যদিও এর পরই উঠে এসেছে মিকা বিষয়ক বিভিন্ন খবর। মিকার চরিত্র নিয়ে বারেবারেই হয়েছে কাঁটাছেঁড়া। নাবালিকে অশ্লীল ছবি পাঠানো থেকে শুরু করে চিকিৎসককে থাপ্পড় তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসছে একাধিক অভিযোগ।
মিকার জন্ম হয় এই রাজ্যেই দুর্গাপুরে।তাঁর জন্মগত নাম আমরিক সিং। বাবা ছিলেন কুস্তীগির।মাও ছিলেন কুস্তীগির। একই সঙ্গে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও তামিল নিয়েছিলেন তিনি। তবে একই সঙ্গে লোকগীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু মিকা গাইতেন কীর্তন। ছয় ভাইয়ের মধ্যে মিকাই ছিলেন সবচেয়ে ছোট। কিন্তু ১৯৯৮ সালে ‘সাওয়ান মে লাগ গয়ি আগ– রাতারাতি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে।
উল্লেখ্য যদিও জনপ্রিয়তার সাথে শুরু হয় চরম বিতর্কও। মিকার কোনও এক জন্মদিনে রাখীকে জোর করে ঠোঁটে চুম্বনের বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। জন্মদিনের সেই ছবিও প্রকাশ পায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। এখানেই কিন্তু শেষ নয়!২০১৫ সালে দিল্লিতে লাইভ কনসার্ট চলাকালীন আচমকাই এক চিকিৎসকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ভিডিয়োও ভাইরাল হয়। যদিও কেন বা কিসের জন্য তিনি চড় মেরেছিলেন সেই কারণ আজও অজানা।
বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য সলমন খানের মতো তিনিও অভিযুক্ত হয়েছিলেন ‘হিট অ্যান্ড রান’ কেসে। এক অটোতে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই দুর্ঘটনায় আহত হন এক পথচারীও।তবে মিকার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে ২০১৮ সাল নাগাদ এক নাবালিকাকে লাঞ্ছনার অভিযোগে । তাঁকে যেতে হয় থানায়। ১৭ বছর বয়সী ব্রাজিলের ওই নাবালিকা অভিযোগ করেন যে মিকা তাঁকে অশ্লীল ছবি পাঠিয়েছেন। দুবাই পুলিশ গায়ককে আটক করে জেলে নিয়ে যায়। সেখানে চলে জিজ্ঞাসাবাদও। যদিও পরবর্তীতে মিকা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।