সমাজ থেকে পালিয়ে বেড়াতেন! দীর্ঘকাল নিজের গর্ভবস্থা লুকিয়ে রেখেছিলেন এই বলি সুন্দরীরা

আজকাল সংবাদ মাধ্যমে যেটা সবথেকে চর্চিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা হল ‘কীভাবে কাইলি জেনার ৯ মাস ধরে তার গর্ভাবস্থা লুকিয়ে রেখেছিলেন!’ কাইলির যখন আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুর খবরটি জানালো তখন অনেকেই বলছিলেন তা সুপার বোল এবং জাস্টিন টিম্বারলের ভাবনাকে চুরি করেছে। এবার দেখে নেওয়া যাক কিছু বলিউড সেলিব্রিটিকে। যারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের গর্ভাবস্থার খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন জনগণের থেকে।

img 20220622 184720

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের গর্ভাবস্থা নিয়ে মিডিয়ায় অনেক জল্পনা কল্পনা রটেছিল। তিনি মধুর ভান্ডারকরের নায়িকার শুটিংয়ের মাঝখানে ছিলেন যখন তিনি তার গর্ভাবস্থার খবরটি সকলের সামনে আনেন। ২০১১ সালে অ্যাশ যখন কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে ফিরে আসেন তখনই লোকেরা তার ওজন দেখে সেটা নিয়ে মন্তব্য করতে শুরু করেন। যদিও অ্যাশের গর্ভাবস্থার খবরটি অবশেষে কয়েক মাস পরে প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল একই বছরের নভেম্বরে অ্যাশ সন্তানের জন্ম দেবেন।রানি মুখার্জির ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই খুব ব্যক্তিগত। তিনি একদম এ নিয়ে রা কাটেননা। এমনকি যশ রাজ ফিল্মসের চেয়ারম্যান আদিত্য চোপড়ার সাথে তার বিয়েকেও মিডিয়ার চোখ থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। ফলে তার মেয়ে আদিরার জন্মও নিয়ে কোনো খবর তিনি প্রকাশ্যে আসতে দেননি।

উল্লেখ্য আরেক অভিনেত্রী যিনি বিয়ের আগে গর্ভবতী ছিলেন তিনি হলেন অমৃতা অরোরা। তিনি তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক শাকিল লাদাকের সাথে গাঁটছড়া বাঁধা পর্যন্ত এটি গোপন রেখেছিলেন । কিন্তু বিয়ের ঠিক পরেই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যান এবং তার বেবি বাম্প সকলের সামনে আসে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সাথে নীনা গুপ্তা এক প্রেমের সম্পর্কের আবদ্ধ ছিলেন। তারা কয়েক বছর ধরে একে অপরকে ডেট করেছিল এবং পরে জানা যায় যে নীনা তাদের মেয়ে মাসাবা গুপ্তার জন্ম দিয়েছেন।শ্রীদেবী এবং বনি কাপুরের প্রেমের জীবন তাদের একে অপরকে দেখা শুরু করার পর থেকেই বিতর্কের মধ্যে পড়েছিল। ১৯৯৬ সালে গাঁটছড়া বাঁধার আগে, গুজব ছিল যে শ্রীদেবী বনি কাপুরের সন্তানকে গর্ভে বহন করছেন। পরের বছর ১৯৯৭ সালে তাদের মেয়ে জাহ্নবীর জন্ম না হওয়া পর্যন্ত এই দম্পতি তাদের গর্ভাবস্থা লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি ২০০০ সালে তার দ্বিতীয় কন্যা খুশি কাপুরের জন্মও গোপন রেখেছিলেন।

 




Leave a Reply

Back to top button