Rana Daggubati- ৪০টা ডিম খেয়ে ওজন ১০০ কেজি, তবেই বাহুবলীর ভাল্লালদেব হন অভিনেতা রাণা

ভারতীয় চলচ্চিত্রের বিগ বাজেটের (Big Budget) ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম একটি নাম ‘বাহুবলী’ (Bahubali)। দুটি ভাগে বিভক্ত এই ছবিটি গোটা দেশের দর্শককে মুগ্ধ করেছিল, বিশেষত দক্ষিণ ভারতে। এই ছবির সম্পূর্ণ স্টার কাস্টিংয়েও (Star Casting) ছিলেন দক্ষিণী কলাকুশলীরাই। এই ছবির মুখ্য নামভূমিকায় দক্ষিণী অভিনেতা প্রভাসের (Prabhas) সাথে সাথে খলনায়ক রানা ডাগ্গুবতীর (Rana Daggubati) অভিনয়ও মুগ্ধ করেছিল সর্বভারতীয় দর্শককে। এমনকি রানা ডাগ্গুবতীর শারীরিক অভিব্যক্তি (Physical Appearance) ছাপিয়ে গিয়েছিল প্রভাসকেও। তবে সেই আকর্ষণীয় চেহারার জন্য শরীরচর্চার (Gym) সাথে সাথে খাওয়া-দাওয়ার প্রতিও বিশেষ নজর দিতে হয়েছিল দক্ষিণী অভিনেতা রানা ডাগ্গুবতীকে।
গত ১৪ ই ডিসেম্বর ৩৭ বছর পূর্ণ করলেন রানা ডাগ্গুবতী। পরিচালক ডি সুরেশ বাবুর (The Suresh Babu) পুত্র রানা ১৯৮৪ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণ ভারতে অভিনেতা রানার জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। তবে শক্তিশালী এই অভিনেতা কেবলমাত্র তাঁর বাম চোখ দিয়েই দেখতে পান। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, তিনি যদি নিজের বাম চোখ বন্ধ করে রাখেন, তাহলে কেবল ডান চোখের সাহায্যে তিনি কিছুই দেখতে পান না। তবু ছবির (Images) প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকায় অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি রানা ডাগ্গুবতী বেশ নাম করা একজন চিত্রগ্রাহকও (Photographer)।
অভিনেতা রানা কনিক ইনস্টিটিউট অফ ইমেজিং অ্যান্ড টেকনোলজি (Conic Institute of Imaging & Technology) থেকে ফটোগ্রাফি কোর্সও করেছেন। পড়াশোনা শেষ করার পর চেন্নাইতে বেশকিছু ডকুমেন্টরি ফিল্ম (Documentary Film) ও বিজ্ঞাপন (Advertisement) পরিচালনা করেছেন রানা। তবে পরবর্তীতে তিনি হায়দ্রাবাদে (Hyderabad) চলে আসেন এবং সেখানে তাঁর বাবাকে প্রোডাকশন হাউস পরিচালনায় সাহায্য করতে থাকে। অভিনেতা রানা তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন ২০১০ সালে লিডার (Leader) সিনেমা দিয়ে, যেটি মূলত একটি রাজনীতি ভিত্তিক (Political Aspect) সিনেমা ছিল।
অভিনেতা কমল হাসান (Kamal Hasan) এবং শ্রীদেবীর (Sridevi) ভক্ত রানা বাহুবলীতে বল্লাল দেবের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কমল হাসানের একটি সিনেমা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন। বাহুবলী ছাড়াও বেশ কিছু তেলেগু সিনেমায় কাজ করেছেন রানা ডাগ্গুবতী। তবে তিনি সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছান বাহুবলী সিনেমা থেকেই, এই সিনেমায় তার চরিত্র ও অভিনয় দর্শকেরা খুব পছন্দ করেন। এই সিনেমায় চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে মানানসই করে তুলতে, রানা তার ওজন প্রায় ১০০ কেজি পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন, যার জন্য অভিনেতাকে কঠোর পরিশ্রম,ওয়ার্কআউট এবং খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয়েছিল। নিজের ওজন বাড়াতে রানা দিনে ৪০টি ডিম খেতেন এবং দিনের বেশিরভাগ সময়টাই জিমে কাটাতেন।
এছাড়াও রানাকে প্রতি দুঘন্টা পর পর কিছু না কিছু খেতে হত। এই সময় তিনি নিজের জন্য একটি বিশেষ ট্রেনার রেখেছিলেন, যাতে তিনি বাহুবলী ছবির বল্লালদেবের চরিত্রে নিজেকে মানানসই করে তুলতে পারেন। এই ছবির পর রানা ডাগ্গুবতী প্রমাণ করে দিয়েছেন ‘পরিশ্রমী লও হে সোনার কলস’ প্রবাদটিকে। কারণ এই ছবিটির জন্য তিনি যেই পরিমাণ পরিশ্রম করেছিলেন, ঠিক সেই পরিমাণ সাফল্যও পরিবর্তিত হয়ে ফিরে এসেছিল রানা ডাগ্গুবতীর কাছে।