‘মাম্মামের খোঁজ টুকুও নেয় না’, অপরাজিতাকে নিয়ে অভিযোগ ‘বিন্দুমাসি’ অভিনেত্রী অনামিকার

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : বাংলা সিনেমা জগতের এক জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রী হলেন অনামিকা সাহা ( Anamika Saha)। একসময় চলচ্চিত্র জগতে চুটিয়ে করে করেছেন তিনি। তাঁর এমন দাপুটে অভিনয় দক্ষতা বাংলার ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সেই সময়। জিৎ-কোয়েল অভিনীত “ঘাতক” সিনেমায় বিন্দু মাসির চরিত্রে অভিনয় করে সকলকে তাকে লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাঁকে। সেই অনুষ্ঠানে নিজের মনের ক্ষোভ উগরে ফেলতে দেখা যায় তাঁকে। বর্তমান টলি পাড়ার এক নাম করা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জন্মেছে তাঁর মনে। সেই অভিনেত্রী আর কেউ নয় স্বয়ং অপরাজিতা আঢ্য ( Aparajita Adhya)। সম্প্রতি জি বাংলা খ্যাত “লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার” ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি ( Aparajita Adhya)। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহার ( Anamika Saha) মুখে অপরাজিতা আঢ্যের বিরুদ্ধে এরূপ কথা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দেয় ইন্ডাস্ট্রিতে। টলিউডের অলিতে গলিতে এখন এরূপ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, দুই অভিনেত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কে নাকি ধরেছে ফাটল।
একসময় অনামিকার ( Anamika Saha) হাত ধরেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন অপরাজিতা আঢ্য। “তৃষ্ণা” নামক ধারাবাহিকে অনামিকা সাহার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অপরাজিতা। এরপর থেকেই তাঁকে মাম্মাম বলেই নাকি ডাকতেন। আর আজ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর সেই মাম্মামকেই ভুলে গেছেন অপরাজিতা। সামনে দেখা হওয়া সত্ত্বেও নাকি তাঁকে চিন্তেই পারেন না অপরাজিতা। এমনটাই অভিযোগ করলেন অনামিকা।
‘বাবার নীরব যন্ত্রণার সাক্ষী থেকেছি’, রণবীরের মুখে ঋষির স্মৃতিচারণায় আবেগে ভাসল নেটবাসী

তিনি আরও বলেন, পরিচালকদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন অপরাজিতা। এরপর তিনি একাধিক পরিচালকের কাছে নিয়ে যান। তাঁরই সূত্রধরে অপরাজিতা স্বপন সাহার ছবিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। কিন্তু তারপর বিয়ে করে তিন বছর গায়েব হয়ে যায় অপা। বিয়েতেও নিমন্ত্রণ করেননি অনামিকা সাহাকে ( Anamika Saha)।
নেগেটিভ ট্রোলকে পাত্তা দেন না অভিষেক বচ্চন, জাদুর মতো কাজ করেছে স্ত্রীয়ের পরামর্শ
একটি সাক্ষাৎকারে অনামিকা জানান, একসময় মা মেয়ের সম্পর্কই গড়ে উঠেছিল তাঁদের মধ্যে। কিন্তু এরপর থেকেই সব কেমন যেন বদলে যেতে দেখা যায়। ক্রমশই অনামিকার খোঁজ খবর নেওয়া ছেড়ে দেন অপরাজিতা আঢ্য। আর এতে যথেষ্ট দুঃখও পেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তাঁর জেরেই “শিমুল পাড়ুল” ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান অপা। যার জন্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ( Prosenjit Chatterjee) কাছে বকুনিও খেতে হয় তাঁকে।
ভারতীর কোল আলো করল পুত্রসন্তান, খুশির আমেজের ছড়াছড়ি নেটপাড়ায়
শুধু মাত্র যে অপরাজিতাকে নিয়েই তাঁর অভিযোগ তা কিন্তু এক্কেবারেই নয়। টলিউডের নাম করা অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ওরফে বুম্বা দার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে তাঁর। তাঁর খোঁজ খবর নিলেও কাজের তেমন সুযোগ করে দেয় না প্রসেনজিৎ ( Prosenjit Chatterjee)। এছাড়াও প্রসেনজিৎ নিজের হাউসেও তাঁকে কাজের কথা বলেনি। এমনটাই দাবি জানান তিনি।